আর কোনদিনই দেখা হবে না!
কখনোই আর স্পর্শের আশায় একটি বিকেল
একটি বর্ষণমুখর সন্ধ্যা এবং গোটা রাত্রিকে
অপেক্ষা করতে বলবো না তুমি আসবে বলে।


শরতের শিউলি ঝরে পড়ুক
ঘাসের ডগায় রূপালী রোদে চিক্ চিক্ করুক শিশির
মাছরাঙা ধ্যানী পাখিটি অপেক্ষার প্রহর গুনুক
আমি চণ্ডিদাস হবো না শুকনো পুকুরঘাটে।


কৈশোরের সেই পুকুরটি আজো আছে
পূর্ব আর দক্ষিণ পাড়ের বৃদ্ধ কাঁঠাল গাছটি,
ঠিক তার কাছেই পেয়ারা গাছটিও আছে;
তুমি নেই, আমি আছি স্বপ্নাহত কিশোর বালক।


কালিদাসের বাগান আছে সে রকমই
যে সুপারির গাছের শরীরে তোমার নাম লিখেছিলাম,
বার্ধক্যের কারণে মরে গেছে গাছটি অনেক দিন আগে
নারকেল গাছটিও নেই, যেখানে আমি ছিলাম!


তোমাকেও এখন আর খুঁজে পাই না কোথাও।
শান বাঁধানো পুরনো ঘাটে, শান্ত কাকচক্ষু জলে
কোথাও তোমার ছায়া পড়ে না আগের মতো
ঝাপসা চোখে স্মৃতিগুলোও খুব জীর্ণ এখন।


এখন এই যন্ত্রণার জীবন ছেড়ে
উড়ে যেতে চাই আমি দূরে থেকে দূরে, যেখানে
দিগন্তে তুমি আছো আকাশ আর মাটির স্পর্শে
আমি এই পৃথিবীর ধুলো হবো তোমারই কারণে।


২০ সেপ্টেম্বর, ২০১২