নির্জন,শান্ত,পরিবেশে,অপরাহ্নের আলোয়!
  নদীর ঝিল্ মিল্ জলে বয়ে তরী,
  পাখীদের ফেরার পালা আসন্ন সন্ধ্যায়।
মাছরাঙ্গাশিকারীর প্রতীক্ষায়,ঝোঁপের কোনে,
হালকা মেঘমালা দূর দিগন্ত প্রসারিত।
মৃদু হাওয়া দোলায় কাশফুলের বন,
        বসে রই বাবার প্রতীক্ষায়।।


যাওয়ার সময় বলেছিল,স্বজনের সাথে,
  সংসার অনাটনে কাজের খোঁজে গঞ্জে।
  মায়ের স্মৃতিভাসে শারদীয় উৎসবে,
  গাঁয়ের মেলায় পুতুলনাচের আসরে।
  মাতৃ-হারা ছিন্ন-বস্ত্রে আনন্দে মত্ত,
  ক্ষুধার্ত-কিশোর চলে ভবঘুরের ঠিকানায়?
            বসে রই বাবার প্রতীক্ষায়।।

মহাজন পুলের-মুখেরজমি জোড় দখল করে।
তার উৎপাতে নানা ষড়যন্ত্রে দূর দেশে রই।
শুনতে পাই,বাবার শরীর রোগে শোকে ভগ্ন,
রৌদ-বৃষ্টি লুকোচুরি খেলায় আনন্দে-পুলকিত।
গঞ্জ থেকে খবর আসে বাবা নিরুদ্দেশ!
ভেসে উঠে অতীত দিনের স্মৃতি-মধুর,
       বসে রই বাবার প্রতীক্ষায়।।


বলেছিল ফিরে এসে, স্বচ্ছল করবো সংসার,
মহাজনের পাওনা মিটলে,নদের পাড়ে ঘর।
মোর নিয়ে বইশার বিলে ঝিনুকের খোঁজে,
সাঁজের বেলায় ফিরবো,মুক্তোর মালা নিয়ে।
কিশোরের স্বপ্ন,এখন ও বাবার সন্ধানে,
নদীর-পাড়ে অপরাহ্নের-আলোয়একা নির্জনে।
        তবু বসে রই,বাবার প্রতীক্ষায়---?