কতো বয়স জানি না
হয়তো আশি,হয়তো তারো অধীক
বুঝি কেবল ভারে,নুয়ে পড়েছে শরীর
চর্মে অগনিত ভাঁজ,কপোলে সেই টোল নয়
যেনো এক অনমনীয় খাদ।
সেখানে আজ কোনো উষ্ণ চুম্বন নেই
নেই কাজল কালো চুলের বাহার
ফেকাশে রুক্ষ সাদা চুলেই
চেয়ে থাকে প্রজাপ্রতির মতো চোখ
কতো কথা! সাদা ঐ ভ্রুজুগলে
কতো রুপের মাত্রা ছাড়িয়ে
আজ নতুন শতাব্দীর কাছে গলিত লাভায়।


অগ্নিশ্বরের অগ্নি বিনায় যে ধমনী উঠতো বেজে
নৃত্যের ঝংকারে, মাতোয়ারা হতো প্রানের দার
উচ্ছাসিত কপোতক্ষায় আজ আবেগের ভাটা
কোমরে করোতোয়ার নেই ঢেউ।
পৌড়দিপ্ত শতো রেখায় নেই জলের ছিটেফোটা
মনের ভেতর মন কেবল নিরব কথা কয়
বুনো হংসের পালে, চৈতের দাহে
ভোরের আকাশের সাথে গভীর মিতালী
ওদের মতোই নির্ঘুম রাত্রীযাপন তার।


কতো বয়স,সে হিসেব জানা নেই
হয়তো আশি,হয়তো তারো অধীক
কামনা বাসনার উর্ধ্বে  লখ্যহীন বস্তু এখন
সময়ের শেষ প্রান্তে এসে।
মনের ক্যামেরায় বন্দি রঙীন দৃশ্যগুলি
শুধু ভেতরেই ছটফটানি
তবে কি মনের চামড়ায়ও বলিরেখা?
অস্পষ্ট কথায় আর কী আছে লুকানো?
জানো কি তা, দাগের কারিগর?