যে ভাবনায় আমি রাস্তার ধাঁরে বসে ছিলাম নিওন বাতির নিচে
যেখানে ঝি ঝি পোকার শব্দে আমি শুনছিলাম তোমার গান
দক্ষিণার যে বাতাস আমায় ছুঁয়ে দিয়েছিলো শিহরণ জাগিয়ে
সেখানে তুমি ছিলে আড়াল হয়ে, চাঁদের ওপাশে আড়াল হয়ে
বাঁকা চাঁদের বুড়ি হয়ে যাওয়ায় তোমায় এক আধ টুকুন দেখে নিলাম
উঁকি দিচ্ছো বার বার আমি কি এখনো আছি দেখতে
মুখের হাসি বেরিয়ে পড়লো! তবে কেউ দেখার নেই এখন
নিঝুম রাতের এই অন্তরায় আমি যে একা
তোমার অপেক্ষায় প্রহর গুনছি, শুনছি ঝি ঝি পোকার গান
কি যে অভিমান! অভিমানে অভিমানে কেন যে আড়াল হয়ে আছো
মিনতি করার সুযোগ দাওনি এতটুকুন, ফিরিয়ে নিয়েছো মুখ
সুখ নামক চাতক পাখির কাছে ছুটে আসি এই ধরায়, এই মহুয়ায়


আমি ভাবনায় ডুবে থাকি দিনের ঘোর কাটাতে মিথ্যের কাজে
নিয়ম বাধা কাজের রুটিনে ভুলের পর ভুলে ক্লান্ত শেষে ফিরি
তবুও কেন জানি বাহ! বাহ! পেয়ে যাই, ভুলই বুঝি ভালো
তবে কেন আলোর নিচে ভালোর ভুল খুঁজে পাই না,
খুঁজে পাই না চাঁদের ঐ পাড়ে আঁধারের ধাঁরে তোমার ছায়া
মায়ায় পরে আছি, অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে আসে নাতো ভোর!


পাহারাদার কুকুরগুলো আমাকে সতর্ক করে যায় বার বার
বাড়ি ফিরতে হবে বুঝি, তবুও যে খুঁজি! কাকে খুঁজি ?
প্রশ্ন মনে ঝি ঝি পোকার গান শোনায় আবারও মগ্ন হয়ে রই
তোমার অপেক্ষায় নিওন বাতি সেই থেকে জলছে, আমায় বলছে
তোর বুকের যন্ত্রণা কি আমার থেকেও বেশি?
আমি তো হৃদয় হীনা, পরাধীনতায় আমার যন্ত্রণা নেহাত কম কিসে?
আবারও হেসে যাই শব্দহীন হাসিতে শুধু ঠোঁট করে বাঁকা
তোমার আঁকা চেহারা সামনে আনার চেষ্টা করে ক্লান্ত হই
এমন নির্ঘুম রাতের শেষ হবে কবে! তোমায় দেখার ছল
মনোবল এখন যে দূরীভূত হয়ে ঘন আঁধারে মিশে যাচ্ছে
হারাচ্ছে হৃদয়ের উচ্ছাসি ভালবাসার প্রয়াস
তবুও অন্তিম হতে অনন্ত হয়ে রইবো, রইবো অপেক্ষায়
মায়ার তরে মরণের পরে তোমার মনের ঘরে ভালবাসা দিতে
ঐ চাঁদের ওপারে, ঐ চাঁদের ওপারে আলোর সন্ধানে
সন্ধানে যেতে হবে তাই বসে আছি এই নিওন বাতির পর।