জন্মদিন! শব্দটা একটু অচেনাই লাগে
কখনো আমার জন্য বুঝি হয়নি পালন,
শুনি বার্থ ডে নামক হই হুল্লুরের মেলা
প্রবীণ হয়েছি কালের আবর্তে নেই সঞ্চালন।


রবিঠাকুর নজরুলের মত মহা কাব্যিক
কিংবা মুজিবের মত শ্রেষ্ঠ বাঙালী নেতা,
হতে চাইনা ওদের মত কালজয়ী কেউ
আমিতো নিম্নমানের পণ্যের একমাত্র ক্রেতা।


যারা জন্মেছিল কালের আবর্তে হয়ে মহান
শ্রদ্ধা জানাই জন্মদিনে দেবার কিছুই নাই,
জসিমুদ্দিন মধুসূদন সাহিত্যের প্রাঙ্গণে
আমিই অধম কুড়ে ঘরে মিলেছি ঠাই।


কাব্যিকতা রসালো সময় পার হয়েছে কত
কত কবির আনাগোনায় মুখরিত সাহিত্য পাড়া,
জ্ঞানী জনের নামের তালিকা অনেক দীর্ঘ
ছন্নছাড়া আমি লিখতে ভাবুক হই দিশেহারা।


নবীনে ময়ূরী, সুদিপ্তারা শুরু করেছে মাত্র
এগিয়ে যাবে বহুদূর সুফিয়া কামালের মত,
পরে রব এই আমি অচিন গায়ের তরে
শুনবো আমি বড় হয়েছে শুভেচ্ছা অবিরত।


হুমায়ূন এসেছিল আছে গুন শীর্ষেন্দুর মত প্রিয়
ওদেরও হয় পালন এই ধরণীতে আশার ক্ষণ,
জীবনানন্দ কতজনার মাঝে খুঁজে পাই আমি
ওরা তো কেউ নয় চিরচেনা আমার স্বজন।


আমার জন্মদিন আছে কি ? কবে হয়েছিল ?
মায়ের অজ্ঞতায় বুঝি তার মনে রাখা হয়নি,
চাষা বাবার মূর্খতা মনে কি আছে রাখিবার
অভাবী সংসারে তিক্ততা ছাড়া কিছুই রয়নি।


তবুও ভালবাসার তরে আমার আছে মা
প্রতিটা জন্মদিন প্রতিটি দিন পালন করি,
ভালবাসার টানে পরে থাকি মাটির গায়ে
সারা জীবন কষ্ট সুখে মা'কে আগলে ধরি।