ও জলে ডুব দিও না, ও জলে যে কুমির আছে
এমন চিৎকার কি আর কানে যায়! তুলতে হবে যে মুক্তা
অর্ধ দেখা দেহ খানি ক্রমেই ডুবে যাচ্ছে শীতের শান্ত জলে
পাওয়ার নেশায় ডুবে যাচ্ছে হিম ঠাণ্ডার কনকনে ছোবলে


ফিরে এসো তুমি, বিপদের শঙ্কা তোমার তরে
তোমাকে'ই ডেকে ডেকে আমি যে ক্লান্ত হয়ে রই
তুমি দেখছি আমার মত তবুও আমি যে তোমার মত নই
উচ্ছ্বাসে উদ্দীপনায় তুমি দিয়ে যাচ্ছ ডুব শঙ্কায় যে রই


ভালবাসার প্রীতি ভীতি ভুলে দেখেছিলাম দাদার আদা পড়া
দাদীর তরে তাই ছিল কান্নার জল ক্ষুধার পেটে ছিল খরা
ভাষার ভালবাসায় ডুবে ছিলো, মনে ছিল স্বাধীনতার বান
সেই দাদার নাতি হয়েই এই ভাষার দেশেই হচ্ছি অপমান


ও জলে ডুব দিও না, এসেছে নতুন সব কুমীরে'র পর্ব শেষে
ঘন অন্ধকারে'র জল তলানিতে ঘৃণিত বিষাদ আবেশে
এসেছে যুদ্ধ নামক নতুন হাতিয়ার বানানো'র উৎসব মেলা
লোভের তলে ডুব দিও না, কোথাও পাবে না আর ভেলা


চলছে এখন শুদ্ধ চর্চা, সাধুভাষাকে করে কলঙ্কিত
চলিত ভাষায় মিশ্রিত সব অর্ধ আলোক করে লুণ্ঠিত
কাচের দেয়ালে লোভের সীমানা পাওনা বুঝে নিতে
মুক্তোর খোঁজ মিলবে রোজ ধর্ষিতা বোনকে দিতে


আমার কণ্ঠও বন্ধ হয়ে যাবে সময়ে'র এই মহাকালে
পরে থাকব হয়তো বেওয়ারিশ হয়ে পথে ঘাটে কিংবা খালে
ভাবাবেগের এই মিছিলে তুমি আর দিও না ঘাটে ডুব
যদিও উঠবে তবেই বুঝবে আমি রয়েছি কেন নিঃস্বচুপ