আমার খালাতো ভাইকে উৎসর্গ করে লেখা, তার মনের অবস্থা নিয়েই আমার এই লেখা। বছর কয়েক আগে পদ্মায় লঞ্চ ডুবির ঘটনায় আমার ভাবি ও ভাতিজী পদ্মার অতল গভীরে হারিয়ে যায়। ওদের সাথে আরও কয়েক শত মারা গিয়েছিল।



ভীষণ অন্ধকারের রাত
শহুরে দালান কোঠায় দু'একটা বাতি জ্বলছে
ঝি-ঝি পোকার ঝুন ঝুন গান শোনা যায়
অপেক্ষায় নেই! নিরাকার আকাশ তলে
একাকি মনের মাঝে নেই! কে বলে?


আজ আমি স্তব্ধ, ব্যাকুলতা মনে শুধু
ফেলে আশা নদীর পাড় এখনো
শুকনো বালুতে আছরে পড়া ঢেউগুলো
শুকিয়ে যাওয়া কান্নার নোনা পানি
মনে হয়! এখনো মা-মেয়ের কান্না শুনি


অতল গভীরে যাবো কি করে?
হয়ে যাবে আত্মহত্যা আর নিজেকে বিলীন
তবে কি করে বেচে থাকবো? কে রাখবে খেয়াল?
হৃদয়তো এখনো হাহাকারে ভরা-সবই শূন্য
শুধু ঐ পদ্মায় চঞ্চল ডোবারই জন্য


ফেরার ইচ্ছেটাই ছিল পিছুটানের বাঁধা
ভালবাসার বাঁধনে আসলো নির্মম দুর্যোগ
শত লাশের মাঝেও নেই মা-মেয়ের কেউ
বিষাদের বুকটাকে চেপে রাখি আর কত?
বাবা ডাক শুনবো না আর! মেয়ে---- হয়নি নিহত


সহধর্মিণী রুপে যেমন ছিল দুষ্টুমিতে মাখা
যে মেয়ের ভালবাসায় ভুলে যেতাম অতীত
তারা এখন অতীতের মায়াজালে এই রাতে
ভারাক্রান্ত থাকি তবুও হয়না আর ভোর
আর কতকাল কাটবে এভাবে! গুনবো কত প্রহর।