আমি স্তব্ধ ও বাকরুদ্ধ


জীবনীটিকায় বহুজনের আনাগোনায় স্মৃতিময়
দৃশ্যতা অতীতকে অশ্রুজলের আবহে আবর্তিত
ভালবাসায় ভীতু মনের পরাজয়ের বিজয়
ইচ্ছেটাই নিজেকে হারিয়ে খোঁজার সংশয়।


নিভু নিভু চাঁদের আলোয় আচ্ছাদিত মুখ
মায়াবী চোখের তরে কান্না ভেজা সুখ
আহ! আমরণ বেঁচে থাকার প্রয়াসে এগিয়ে চলা
মাঝের ক্লান্তি ফিরিয়ে দিবে দিয়ে অবহেলা।


নদীতটের কল্লোলে বিলীন দাঁড় টানা তরী
উল্লাসের আড়ালে মলিনতায় আঁকড়ে ধরি
সুতোয় গাঁথা আবহমানের আভিধানিক চিত্র
অচিরেই হারিয়ে যাবে নিকটতম যে মিত্র।


আমি স্তব্ধ ও বাকরুদ্ধ


দৃষ্টির ত্বরায় ভালবাসার ধারায় অচেনা মুখ
অবশেষের পোষাকে লুকাবে নিজের বুক
মায়া কান্নার পরশ পরবে বুঝি ঘরের তরে
তিরস্কারের আবহ পালাবদল অগোচরে।


বোঝার কি আছে বাকী শূন্য পাতার পর
ললাটের মাপকাঠি বিদায় করেছে ঘর
ফেরার স্বপ্ন লুকিয়ে মৃত্যুর পরিণয় দেখা
অচেতন অবজ্ঞায় সুসময় থেকেই একা।


করোনার কাড়াকাড়ি স্বার্থের মহামারী এই
সময় সমীকরণ মিলানোর সুযোগ তো নেই
স্তব্ধতায় হয়ে যাবে আলাদীনের জাদুর চেরাগ
বাকরুদ্ধ হবার ক্ষণেই বিঁধবে নতুন পেরাক।


(গত কাল গ্রামের বাড়িতে খুব কাছের একজন দাদা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, আমি তার মাগফেরাত কামনা করছি এবং এই কবিতা তাকেই উৎসর্গ করছি)