একমুঠো রোদের অপেক্ষায় বসে থাকা আমার
প্রাণ চঞ্চল তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে
কাঠ পোড়ানো আগুনের তাপে তোমার হাত উষ্ণতা নিচ্ছে
পলকহীন আমি অধীর অপেক্ষা, একটু তাকাবে
জানি সূর্যের কিরণ আসলে আমায় দেখার ফুস্‌লত মিলবে তোমার
ঘরে যাবার ছলে পাশ কাটিয়ে একটু মিষ্টি হেসে দিবে
এমনটা আমাকে যে কতটা দোলা দিয়ে যায় তুমি বুঝবে না
তুমি হয়তো বুঝবে শীতের শিশিরের দূর্বা ঘাসে পা ভেজানো
তুমি বুঝবে তোমার অপেক্ষায় থাকার অনুভূতি
তুমি বুঝবে প্রচণ্ড ভালবাসা মানুষের ফ্যালফ্যাল তাকিয়ে থাকা
হয়তো এর মাঝেই তোমার সুখ,
হয়তো এর মাঝেই খুঁজে নাও ভালবাসার মধুমাখা দৃষ্টি


একমুঠো রোদের অপেক্ষায় বসে থাকা আমার
দেখতে থাকা আর দেখতে থাকা সময়ের হিসেব বাদে
সাদাসিধে মেয়েটা দেখতে যেমনই হোক
রোদের ঝিলিক গাঁয়ে পড়লে মনটা উথলে যায়
ডুব দিয়ে যাই মন সাগরে, ভেসে যাই তরী বিহীন
মিষ্টি হাসিটা চোখের সামনে চাঁদের হাসি হয়ে যায়
অজানায় খুঁজি অনুভূতির মায়াময় রোদেলা তাকে
বাগানের বাহারি ফুলের সাথে তুলনায় হেরে যাই
হেরে যাই আপন খেয়ালে নিজের কাছে
ভালবাসি বলার অপেক্ষার কাছে হেরে যাই
তবুও ভালো, এই অপেক্ষার তৃপ্তি অনেক
রোদের আবহে চলে যাবার ক্ষণে একটুতো হাসবে


আমি ভালবাসি এমন ভাবনার জাল বুনে দিয়েছি তোমায়
কুয়াশার মতো করে হিম ঠাণ্ডার মাঝে উঁকি দিয়ে
সাদা মেঘের ভেলা আলতো ছুঁয়ে দেওয়া পাখির মতো
ডিঙি নৌকার দোল খাওয়ার মত ভালবাসি তোমায়
তোমার জন্য আমার সমস্ত কাজকে করে নিয়েছি আপন
হারিয়ে যেতে দেই না সময়ের সেকেন্ডের পরিধি
নিরবধি তোমার পাশে থেকে, তোমায় দেখে দেখে
তোমাকে আগলে রেখে ভালবেসেছি, আপন ভাবনায়
যে ভাবনায় তোমায় অন্য নামে ডাকি
যে নামের ডাকে তুমি সারা দাও, যে নাম অন্য কেউ জানে না
আমি ভালবেসেছি তোমার প্রতিটি স্বত্বাকে,
শুধু শোনার অপেক্ষায় আছি, ভালবাসি বলবে ঐ মিষ্টি রোদের মত
যে রোদ আমাকে এই শীতের মাঝে তোমায় দেখার অনুভূতি দেয়
যে রোদ তোমার গাঁয়ে পড়লে তুমি ছুটে আসো আমার তরে
দৌড়ে যেতে তোমার আপন ঘরে।