কবিতা তুমি কোথায়! খোঁজার নেশায় পাগলাটে দস্যু চেহারায় চুপ,
প্রশ্নের চাপে ঘন জঙ্গলে বাসা বেঁধে আছি সেই আদি অদ্য থেকেই।
তোমায় পাবার নেশায় ভ্রমণের তৃষ্ণা মিটিয়ে নিয়েছি সেই কবে!
প্রজাপতির ডানায় উড়েছি সহস্র মাইল শুধুই অনুভবে।
আজও পাইনি তোমার হদিস, নিরবধি চলছি ক্লান্ত পথিকের ন্যায়
অবসাদের আর কিছুকাল বাকী, এখনো কি আসবে না আমার ত্বরায়?


দেখে নিলাম নীলাকাশের মাঝে তোমার উড়ে যাওয়া মেঘের ভিড়ে
পাখি হয়ে ছুটে চললাম বহুকাল, বহু সময়ের রেখা সেকালের নীড়ে,
সাগর পাদদেশে তুমি দিয়েছিলে উঁকি, তরঙ্গে মিশে যেতে দেখে মুখ ভাঁড়
গর্জন কানে আসলেও ছুটে যেতে না পারার অক্ষমতা বিষাদ অবিচার।
দু'নয়ন তবুও খুঁজে মনের মানুষের মনের ভিতর চেতনার আবহে
নির্জনতায় ভালবাসা হারিয়ে অশালীন বিকিয়ে নিরাশায় ভাবে
কোথাও কি পাবো না তোমায়! তবে কি বিষাদের মাঝে হারাবো?
তোমার আশায় ইতি দিলাম মনের বাঁধন, সমাজকে করলাম পর
ধুলোমাখা মেঠো পথে দিনের শেষে বানালাম অবেলার ঘর।


কবিতা তোমার জন্য মুহূর্ত কেটে যায় ভাবনার ডানা কেটে ফেলে
বাস্তবতার মায়াজাল বুনে দেই স্বপ্নের গহীনে কোন উৎস পেলে।
খুনসুটির ছন্দ একে দেই তোমার হৃদয় জুড়ে ঘন আঁধার আসায়,
হামাগুড়ি দিয়ে যাই গল্পরা খণ্ডিত হয়ে নীরবে যখন চোখ ভাষায়।
চেতনার তরে খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত হয়ে রই তবুও দৃষ্টি ধূসরের তরে
তুমি আসবে কবে ছেঁড়া চিঠিগুলো দিয়ে সাজানো বিষাদের ঘরে।