জানি তুমি আমায় ভালোবাসো না!
তবুও তোমার বিচরণ আমার বুক জুড়ে শীতলক্ষ্যার কালো জলের মতো,
যেখানে অবিরত গর্জন যতো বিসর্জনের ঘৃণা চেপে রাখার যন্ত্রণায়।
দুর্গন্ধের দুর্গম গহীনে আমাকে হয়তো খুঁজতে উঁকি দিয়ে যাও,
আমি বুঝতে পারি তোমার অনুভবে নিজেকে উদাসী করে নাও
তুমি কি তাহলে শীতলক্ষ্যার মতো ভালোবাসো প্রয়োজনে'র টানে।
যে জলের তরে তোমার পরিত্যক্ত সব ফেলে রেখে যাও
আমার ভালবাসা যেমনটি এই নদীর তীরেই ফেলে রেখেছো।


জানি তুমি আমায় ভালোবাসো না, আমার মতো করে
আমার মতো করে নিজের ঘরে শুধু প্রেম আর প্রেমে সাজানো,
সুখের অভিনয়ে আজ যে আমি বড়ই ক্লান্ত পরিশ্রান্ত
একটু জোয়ারের আশায় দীর্ঘ এগারো মাসের অপেক্ষায় কুলসিত হই।
ঐ জোয়ারে তুমি আসবে, খুব করে ভালবাসবে
স্বপ্নকে সাজাবে মেঘনার মোহনায় স্বচ্ছ ডালিম পানির তরে
পদ্মার ঘোলা পানি এসে ছুঁয়ে যাবে মাঝে মাঝে।


তোমার সাথে শেষ কবে অভিমান করেছিলাম মনে আছে কি!
মনে আছে কি শেষ কবে আমার হাত ধরে বসে ছিলে নৌকার পাল দেখতে?
উড়তে দেখা শঙ্খচিল সাদার ভেলায় চলা মেঘের রূপ
মাছের রঙ ঢঙ্গ দেখে উল্লাস ছাড়িয়ে কতোটা ছিলে চুপ।
মনে পরে কি বাদাম কি না খাওয়ার প্রতিযোগিতায় হেরে যেতে
হেরে যেতে প্রতিটি জাহাজের আশা যাওয়ার ভুল হিসেবে
আমার কিন্তু সব মনে পরে, মনে পরে তোমার শেষ অভিমানের স্মৃতি।


তোমার সাথে শেষ কবে দেখা হবে তুমিই বলে দাও
আমি তো শীতলক্ষ্যার গহীনে থাকি এখন, এখন বিষাক্ত মাছেরা আমার বন্ধু,
পরিত্যক্ত বর্জ্যে ঢেকে যাচ্ছে আমার পুরো শরীর
উপরের বৈঠার বারী আমার কান পর্যন্ত এখন আর পৌঁছায় না।
মাঝে মাঝে উৎকট শব্দ শুনতে পাই জাহাজের সাইরেন
শুনতে পাই না শুধু তোমার ডাক, শুধু বুঝতে পারি তোমার বিচরণ অনুভূতি,
তুমি এখনো আমায় ভালোবাসো না এতোটুকুই বুঝতে পারি
আমি যে হারিয়ে গেছি তা হয়তো এই শীতলক্ষ্যা ও শুধু তুমিই জানো।