ভয়ানক বায়না !
কিনে দিতে হবে হাতের চুড়ি, অন্য কিছু হলে চলবে না
তাও আবার কাঁচের চুরি, স্বচ্ছ কাঁচের চুরি!
এটা আবার এমন কি ? কিনলেই তো পাওয়া যায় _______!
হ্যাঁ, তবে কোথায় ? করোনার শুরুর সময়!
যেখানে একটি মাস্ক পাওয়া দুষ্কর, যখন চলছে কারফিউ
যখন চোরেরাও পরে থাকা টাকা ছুঁয়ে দেখে না,
ঠিক তখনি এমন ভয়ানক বায়না!


আরও একটু পিছনে ফিরে যাই
শেরপুর সীমান্ত এলাকায় যখন পাহাড় ঘেঁষা নদীতে নামতে বলেছিলো
পাহাড়ি গাছে ঝুলে থাকা পাকা কলার লোভ সামলাতে পারেনি,
গারোদের বাড়িতে যখন রাত কাটাতে বাধ্য ছিলাম,
পাথর তোলা ছেলেদের যখন ঢিল ছুড়ে মেরেছিলো।
সে সব আবদারও পুরন করতে হয়েছে।


যদি আরও পিছনে ফিরে যাই
গাঁয়ের বিরোধে যখন প্রতিপক্ষের আঘাতে মৃত্যুপ্রায় খাদের কিনারায়
চারিদিকে ভয়ানক চেহারার ক্ষুব্ধ জনস্রোত
শব্দহীন কাছে এসে মায়ায় বেঁধে রেখে আজকের এই আমি করেছে
সেদিনের পর আঠারো দিন নিজের ঘরে লুকিয়ে রেখে
তার মানে ওর বাবার অগোচরে কিংবা মূল শত্রুর ঘরেই।


তাইতো গিয়ে ছিলাম
কিনেও এনেছি, এ বায়না যে মিটাতেই হবে।
যে নিজের জীবনকে বাজি রেখে আমার তরে বিলীন করে দিয়েছে
যার জন্য সমস্ত পাড়ার মানুষ কাঁদে
তার বায়না কি আর না করা যায়?
কখনোই যায় না, মিটাতেই হবে এই বায়না।
যে ক'টা দিন বেঁচে আছে, হাসি খুশি যে রাখতে হবে
এই ভবে স্বজন বলতে যে শুধু আমিই আছি
করোনা তো ব্রেন ক্যান্সারের থেকে বড় না!
করোনা তো ওর বাবা-মা হারিয়ে একা আমার সাথে থাকা থেকে বড় না
করোনা তো নিঃস্বার্থ ভালোবাসা থেকে বড় না।