কৌমুদী কালন্তি রাত্রির নামান্তরে
মেঘ ভাসি গুড়ি গুড়ি বৈশাখী'র তরে
ঘরকোনে একা বসি প্রদীপ সামনে
হুরুক জানালার ঝাপ ঝপাত পবনে


ভিতুকায় মন জবে পরিপাটি ভয়
জড়ায়ে ধরি জন কে জানি কে রয়
হুর হুর হুতাশনে বৃক্ষের গরজি
সবই ভেঙ্গে এল এই ক্ষণে বুঝি


বারান্দার উপরে ক্ষণ পরিবে দিখ্য
ঝড়ের মাতমে দুলে নীপ বৃক্ষ
আমার মনে তখন কি জানি কি হয়
কি হবে পরের ক্ষণ মনে শুধু ভয়


কেউ নেই আমি একাকী অন্ধকারে
আমার চিৎকার শুনে না কেউ অভিসারে
ফুল কুল আমের মুকুল ঝরে পড়ে
গাছের তলাতে সফেদা ফল বুঝি ধরে


ভাঙ্গা জানালার দিক চেয়ে মুখ
চিৎকার গর্জনে কেঁপে উঠে বুক
কে যেন দৌড়ে গেল ছুটে রাস্তায়
বিপদের সংকেত বুঝি তার কিনারায় !


দরজাটা গেল খুলে কি করি এখন
একে একে খুলে গেল বেড়ার বাঁধন
এক ঝাপটায় নিয়ে গেল কোথায় কে জানে
ঝড় পবন কি আর আমার কথা মানে !


আবার ফিরে তাকাই আমার নিজ ঘর
অসহায় হয়েছি আমি দিয়ে গেল ঝড়
সহায় করবে আল্লাহ্‌ আশা তবু মনে
ধরে ঘরের খুঁটি দাঁড়িয়ে এক কোনে ।