(মুজিব বর্ষ ও করোনার সময় পার হওয়ায় আমি এই কবিতা আগে দিতে পারিনি। তবুও ক্ষমার চোখে দেখবে দেশের এই মহামারী সময়ে এমন কবিতা দেওয়ার জন্য। করোনা নিয়ে লিখতে গেলে চোখের জল আর বুকের কান্নায় লিখতে পারি না )


ফাল্গুনে শন শন বাতাসের ডাক
শুকনো নদীর পারে পরে থাকে বাঁক।
চারিদিকে ফুলো বন মাছি ভন ভন
কানে বাজে চেনা সুর কোকিল কুহুতান।


ঋতুরাজ বসন্ত দোর গোড়ে আসিলো
শিশু মন ছুট ছুটি আনন্দে ভাসিলো।
তরু রাজি নব সাজি সবুজ পাতায়
ফুল গুলো রং দিল প্রকৃতির খাতায়।


নদী পাড় খালি তার বেড়ে উঠে লতা
রাখালের পোষা গরু ঘাসে বলে কথা।
পলাশ, শিমুল ফুলে গাছের ডালে লাল
কৃষ্ণচূড়ায় সাঁজায়ে কলি এই সমকাল।


ধূলিকণা উড়ে বেড়ায় মেঠো পথে বুঝি
কাঁটা ঘুড়ি এই পান সেই পান কত যে খুঁজি।
আকাশের বুক চিরে সাদা বক উড়া
প্রজাপতি ডানা মেলে চারিদিক ঘোরা।


ধান খেত শিষ দেয় সবুজের প্রান্তর
আম্র মুকুলের ঘ্রাণ জুড়ায় যে অন্তর।
ঋতুরাজ বসন্ত তাই আমার অনুভব
ভালোলাগা ভালবাসার মধুর কলরব।