সেই কৈশোর থেকে দুঃখরা আমার একান্ত আপন;
যে দিকে বাড়িয়েছি প্রত্যাশার হাত
আঘাত করেছে বেদনার নির্মম সুনামি!
সবুজ স্বপ্নগুলো ঝরে গেছে-
শীতে বিবর্ণ পাতার মতো;
এক আজন্ম হাহাকার বাসা বেধে আছে-
বুকের ভেতর আমার!


লাল গোলাপের কাছাকাছি ছুটে গেছি যতোবার
অনুভূতির রক্তাক্ত কফিন নিয়ে ফিরেছি
ফুলের স্পর্শবিহীন, কাটার যন্ত্রনায়।
যৌবনের প্রথম প্রহরে চঞ্চলা যে তরুণী-
কুড়েঘর বেধেছিলো বুকের ভিতর;
সে অন্য কারো স্বপ্ন গড়তে ব্যাস্ত
উচ্ছ্বল স্রোতে ভেসে চলা রঙিন খেয়াই!


এরপর খড়-কুটোর মতো যা কিছু আকড়ে ধরে-
বাঁচতে চেয়েছি আমি;
দেখেছি সব ছাই-ভস্ম
মরিচিকা, প্রতারণা; ভুতুড়ে আঁধার।
প্রেয়সীর অধরে যে স্পর্শের অনুভূতি;
তা মৃত প্রজাপতি
ঝরে পড়া ফুল; দুঃখ আমার!
সেখানে চোরাবালি সুখ;
আমি নেই! আমি নেই!


ভালোবেসে আমি নিশ্চুপ হয়ে গেছি-
রাতের নিঃসঙ্গ নক্ষত্রের মতো;
নীড়হারা পাখিদের মতো-
আশ্রয়হীন আজ।
আমার দুঃখরা, আমার একান্ত সঙ্গী
ল্যাম্পপোস্টের মতো তারা সারা রাত জেগে রয়
আমি ঘুমাতে পারি না।