একদিন হাতের পাঁচ আঙ্গুল বিছিয়েছিলাম-
বিশ্বাসী এক হাতের পরে।
প্রত্যুষে এক মোহন বাঁশি স্পর্শ করেছিলো
আমার কনিষ্ঠা অঙ্গুলিকে।
সপ্ত সুরে আমার কনিষ্ঠাই ছিলো বেসুরো।
বাঁশি পড়ে রইলো পথের ধারে ধুলিমাখা গায়ে।
দুপুরে বেহালা এলো অনামিকার কাছে
রাগ ভৈরবীর ঠাট নিয়ে।
অনামিকার মন ভরলো বিষাদে।
ফিরে গেলো বেহালা নিঃশব্দে-
যে পথে এসেছিলো সেই পথ ধরে।
বিকেলে সূর্য তখন অস্তাচলের আভায়।
মধ্যমাঙ্গুলিকে ছুঁতে চেয়েছিলো এক বুনো পাখি।
ভীত মধ্যমা মুখ গুঁজে ছিলো হাতের তালুতে।
বজ্রমুষ্ঠি দেখে বুনো পাখির দল
ফিরে গেলো ওদের অভয়ারণ্যে।
সাঁঝেরবাতি যখন জ্বলছিল ঘরে ঘরে
তর্জনীর গা ঘেষে বসেছিলো সোনার অঙ্গুরীয়।
সেও যাবার পথ ধরেছিলো সংকোচে, লাজে।
বাসরলতার ফাঁকে আধেক চাঁদ দুলছিলো।
বৃদ্ধাঙ্গুলি ছিলো তখন বেঘোর ঘুমে।
চাঁদ ডুবেছে প্রকৃতির নিয়ম মেনেই।
কেউ পেলো না ঘর, সবাই গেলো বনে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল জড়ানো ছিলো
তাহার বিশ্বাসী হাতে।
জড়াজড়ি করে দু'হাত বেঁধেছে ওরা
রাখীর বন্ধনে।