যেটুকু ভালো লাগার ত্রিমাত্রিক রঙ দিয়েছিলে
সেটুকুয় নোনা জল মিশিয়ে মিশিয়ে লিখতে পারি
সহস্র কবিতা, অজস্র গান আর গদ্য।
তোমায় নিয়ে লিখবো বারোমাস, আমার আমৃত্যু।
বদলে যাওয়া রঙটুকু থাক তোমার কাছে।
ভেবেছিলাম শতাব্দীর গায়ে লেপ্টে দেবো
আমার আজন্ম লালিত চিরহরিৎ রঙ।
সেখানে মিশে ছিলো কুয়াশার আবছায়া দাঁগ।
শত জনমের ভাঙ্গনের চিহ্ন পড়েছিলো সেখানে।
কি অদ্ভুত ভরাডুবিতে পেয়েছো নতুন জন্মের স্বাদ।
সে কেবল তুমি আর তোমার ইশ্বরই জানেন।
সময়ের প্রবল স্রোতে পেতে দিয়েছো পিঠ।
ঘূর্ণির আবর্তে থমকে দাঁড়িয়ে নিজেকে বলেছি-
আমিও কি ভাসাবো নিজেকে অসময়ী স্রোতে?
ফিরে এসেছি প্রতি পদে প্রমাদ গুনে গুনে।
ভীষণ জড়িয়ে ছিলাম বলেই ভুলবার এতো প্রহসন!
তোমার শরীরের চারপাশের কাঁটাতার সরাতে চেয়েছি।
তুমি কেবল দেখেছো তোমার দিগন্ত জুড়ে আছে
সবুজ শস্যের চাষাবাদ।
আমি দেখেছি বিস্তৃত বধ্যভূমি জুড়ে আছে
কেবল কালো ঘাসের নিশান।
অন্তরালের এই দর্শনটুকুই আজ আমাদের
চিরকালের নিশ্চল ব্যবধান।