অবশেষে একটা রাত এলো
আমার বিস্তৃত আঙ্গিনা জুড়ে।
আরাধ্যের নয়, বিমূর্ত বিমর্ষ রাত।
সাত প্রহরের ঘাট পেরিয়ে
বিগত যৌবন ছুটে গিয়ে ছুঁয়েছে সায়াহ্ন।
এক নগ্ন যাত্রার ব্যথিত ভ্রুণ স্পন্দন পেলো।
লুকোনো স্বপ্নের সুষমা গায়ে মেখে
ক্লান্তিহীন চোখের তারারা গলে পড়ছে
আমার সিথানের কাছে।
আমি কেবল নির্বাক চেয়ে আছি আকাশপানে।
আমাদের প্রেম, আমাদের রাত্রি জাগরণ,
নিস্তব্ধ এক বিস্ময়ের মাঝে শেষ করেছে
অনন্ত পথ পরিক্রমা।
আঙুলের কড়ে নামতা গুনেছি।
সপ্ত সুরে গান ধরেছি যুগল কণ্ঠে।
শব্দের বুননে সমস্ত রাত্রি জুড়ে বুনেছি নকশিকাঁথা।
ঢেকে দিয়েছি রাত-ভোরের সুদীর্ঘ কায়া।
জানালার সার্সির ওপারে এক ফালি চাঁদ
প্রেয়সীর ঠোঁট ছুঁয়ে আমার কপালে বসতো নিতুই।
স্বর্গীয় সুধায় ঢেউ খেলত নিত্যদিন
আমার স্বর্গোদ্যান জুড়ে।
লাল নীল প্রজাপতিরা ডানা ঝাপটে উড়ত আমার ঘরে।
এলোমেলো দিগ্বিদিক ছুটত শব্দ বিহঙ্গরা।
ছন্দহীন শব্দে তৈরি হতো অমানিশার গান।
ভোরের আযানের ধ্বনিতে স্তব্ধ হতো মুখরতা।
গতকাল শেষ হয় সব হিসেবের ধারাপাত।
আজ আমার জানালার ওপারে অমাবস্যার ঘোর।
তবুও জীবন চোখ রাখে ভবিষ্যতের মোহে।
অসহায় নির্জনতার পিঠে তাই আজ
কাতারে কাতারে উৎসবের বীজ বুনি।