কবে কোন ভাসমান তরী
উল্টে গিয়েছিলো তোমার চোখে!
সেই থেকে টলটলা দুঃখ লেখা হয়
তোমার চোখের জলে।
কবে কোন আসমানী তারা
খসে পড়েছিলো তোমার চোখে!
সেই থেকে তোমার উঠোন জুড়ে
তারার মেলা বসে রোজ মধ্যরাতে।
কবে কোন দেবদারুর বন
শৃঙ্খল ভেঙ্গে সারি সারি বসেছিলো
তোমার চোখের কার্নিশে!
সেই থেকে তোমার নির্ভিক চোখ
ঘুমাতে পারে আজ অবধি
অনন্ত শোকের মাঝে।
কবে কোন প্রকৃতি লীন হয়েছিল তোমার চোখে
নীলাদ্রির সবুজ আঁচল পেতে!
সেদিন থেকে কবিতা পেয়েছে নতুন প্রাণ।
কবি হয়েছে বাউণ্ডুলে প্রেমিক।
কবে কোন কীর্তিনাশা ডুব দিয়েছিল
তোমার চোখের অতলে!
সেই থেকে দু'পারের জনপদ গেছে ভেসে,
ভেঙ্গে গেছে কতো স্বপ্ন স্বচ্ছ কাঁচের মতো।
কতো মহীরুহ উপড়ে গেছে সমূলে!
কবে কোন অভিশাপ লুকিয়েছে তোমার চোখে।
সেই থেকে পুড়ে গেছে কত শত প্রেমপিয়াসী মন!
ঝরা পাতার মতো উড়ে গেছে
উদাসী প্রেম, উদাস হাওয়ায় ভেসে।
কবে তোমার চোখ পড়েছিলো
আমার চোখের মাঝে, আমারই অলক্ষ্যে!
সেই থেকে তোমার দৃষ্টি ক্ষীণ হতে হতে
তোমার পৃথিবী ছোট হতে হতে
তোমার গ্রহণ লেগে গেছে আমার পৃথিবীতে।