দেখা হওয়াটা দরকার ছিলো।
অদৃশ্য রহস্যময়তার ঘোর কাটলে
হৃদয় আর একটু আকাশ হতে পারতো।


একটু ছুঁয়ে দেখার দরকার ছিলো।
অস্পৃশ্য কোন মানবী নও তুমি!
মনের মধ্যে তোলপাড় করা দ্বন্দ্বটা কেটে গেলে-
পরাবাস্তবতা থেকে বের হওয়া যেতো।


চোখে চোখ রাখার একটু দরকার ছিলো।
তোমার চোখ দুটো স্বর্গীয় কোন নহর নয়-
দেখতে পেলে, ঘোর সন্দেহটা কেটে যেতে পারতো!


আঙ্গুলে একটা চিমটি কাটার দরকার ছিলো।
অদেখায় বিলিয়ে দেয়া অস্তিত্ব শিহরিত হয়-
বুঝতে পারলে, আমার তোমাকেই বোঝা হতো।


তোমাকে একটা হাসির গল্প বলা দরকার ছিলো।
লৌকিক হাসিতে কেমন করে বিগলিত হয় মন-
কাছে থেকে দেখতে পেলে-
তোমায় একটিবার মেলানো যেতো।


তোমাকে একটা কষ্টের গল্প বলাও দরকার ছিলো।
কেমন করে তোমার চোখের জলে
ভিতরটা দুমড়েমুচড়ে কাবু হয়ে যায়-
চোখের সামনে দেখতে পেলে-
একটা প্রস্ফুটিত গোলাপের সৌরভ নেয়া যেতো।


তোমার ছায়ায় তোমার কপাল দেখি না।
চোখ, কান, নাক, গাল, গ্রীবা, ওষ্ঠ, অধর-
ওসবের কিছুই দেখতে পাই না।
আমার আদরের চিহ্নগুলোও তাই
আজন্ম অদেখাই রয়ে গেলো!


সত্যি বলছি!
দেখা হওয়াটা ভীষণ দরকার ছিলো।