ভালো লাগায় ভালো লাগা কুড়িয়েছিলে।
কিছুটা সঞ্চয়ে রেখেছিলে।
কিছুটা মনের গহীনে পুষেছিলে।
কিছুটা সাদা ক্যানভাসে এঁকেছিলে
দিনের পর দিন, যত্নে-
কিছু মিষ্টি বুমেরাং শব্দে।
গ্রহন বর্জনের মাঝখানে দাঁড়িয়েছিলে-
কিছুটা প্রকাশ্যে, কিছুটা অগোচরে।
কিছুটা ফেরত দিয়েছিলে
খুচরো পয়সার মতো, সযত্নে।
আশ্বাসহীন আশ্বাস দিয়েছিলে কিছু।
এক হাতে হাত চেপে ধরেছিলে বিশ্বাসে।
অন্য হাতে দূরে ঠেলেছিলে অবিশ্বাসে।
ভয় আর নির্ভয়ের দোলায় দুলেছিলে।
কিছু রহস্য রেখেছিলে চোখেমুখে।
কিছু হাসির ঝলক রেখেছিলে
ঠোঁটের কার্নিশে, গালের কিনারে।
শতমুখী আসক্তির কথা জেনেও
কারো অবিশ্রান্ত অর্পন অনাহত রেখেছিলে।
সহজাত বর্ণে, শব্দে, আচরণে-
পাছে মিলিয়ে যায় সুদীর্ঘ পথে আঁকা
যুগল পায়ের চিহ্ন।