যখন অভিমানী দুঃখগুলো দরজায় কড়া নাড়ে
আমি বরং স্বাগতই জানাই তাদেরকে।
দুঃখ হলো রাত সমুদ্রের বাতিঘর।
দুঃখ আমার আঁধার ঘরের প্রদীপ শিখা।
নিকষ কালো আঁধারের ক্যানভাসে-
সারারাত সলতে পুড়িয়ে পুড়িয়ে
দুঃখ নিজের ছবি আঁকে।
দুঃখের মুখে দেখি আমি সুখের মুখশ্রী।
কতবার দেখেছি তোমার শ্বেত ঘোড়ার পিঠে
বুকের পাঁজর ভাঙ্গা কষ্টের কুন্ডলী।
কতবার দেখেছি বুকের ভেতরে
বিষাদের সীমাহীন বিস্তার!
কতবার হারিয়েছি তার গহীনে নিঃশব্দে!
ব্যাকুল পরিচর্যায় সারিয়ে তুলেছি আবার কতো!
হিসেব রাখিনি আজ অবধি তার।  
আমি কেবল এক গাল হেসেছি
তার ছেলেমানুষী দেখে।
আমার চোখের আনন্দ উদ্যান ছাড়া
সে আর কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে!
আনন্দ অশ্রুতে বরণ করে নিতে শিখেছি!
ভালোবাসা আমার দুঃখ আহারী!
দুঃখ নিয়ে আমার তাই আজন্ম বিলাসিতা!
দুঃখ বীণায় যখন বাজে পতনের সুর -
চিত্তে আমার লাগে তখন আনন্দেরই ঘোর।