বুকের ভেতরে সীমাহীন আর্তনাদ
ফুঁসে উঠে জলোচ্ছ্বাসের মতো।
বোধের কড়া শাসনে শাসিত আবেগ-
বালিয়াড়ির গায়ে আছড়ে পড়ে বিলীন হয়।
অস্ফুট চিৎকার বাধা আছে বহুদিন
করাল নিয়ম শৃঙ্খলের কাছে।
নিত্য নতুন অনুভব পরাজিত হয়
অনাগত দিনের কাছে।
বিস্ময় জাগে চেতনায়-
সহস্র ধারায় নিজেকে খুঁজে পেয়ে!
শঙ্কিত প্রেম চাতকিনীর মতো নিমগ্ন-
নিশ্চুপ নিঝুম অরণ্যের কোলে।
এ এক ঘোর লাগা অস্থির নেশা-
অস্তি মজ্জায় রক্তে মিশে একাকার!
ব্যথার চারপাশে আঙ্গুল বোলানো মত্ততায়
চোখ বুজে আসে অলস অবলীলায়।
নিত্য রোদন হাঙ্গরের মতো গিলছে শরীর
নাকি বসন্তের কিশলয়ের রঙ মাখছে জীবনে-
নাকি পুরোনো খোলস ভেঙ্গে ভেঙ্গে
নতুনের পথ ধরে হাঁটতে শেখাচ্ছে-
বিস্ময়ে ভাবনায় বোহেমিয়ান সময় এখন।
পৃথিবীর সব রঙ শুষে নিয়েছে মায়া।
সবুজ পাতায় বয়েসী রঙ, মরমর শব্দ।
গোলাপের গায়ে অমানিশার গুণ্ঠন।
আকাশনীলা ছেয়েছে ঘনকালো মেঘপুঞ্জে।
বিবর্ণ মাটির পৃথিবীর বুকে
জীবনের জলে দুরন্ত ঢেউ জাগে অবিরত।
লাজুক নারীর অবগুণ্ঠনে ঢাকা প্রেম
সওয়ার হয়েছে ভীরু হরিণীর পিঠে।
প্রতীক্ষার মাঝে মরন যন্ত্রণা বুকে পুষে
পিঙ্গল চোখে তাকিয়ে আছি অনন্তকাল -
দূর মরীচিকার ভাসমান তরঙ্গে।