বুকের ভেতরটা ক'দিন ধরেই
শূন্যতার ভারে নিথর হয়ে আছে।
নিজের অলক্ষ্যেই কিছু অকর্ষিত জমি
নিশ্চুপ বেদখল ছিল বহু দিন ধরে।
গহীনে শেকড়ের বিস্তৃতি বুঝিনি।
উৎস থেকে শিখরের দৈর্ঘ্যও মাপিনি।
মাটির উপর যতটুকু মাথা উঁকি দিয়েছিল আকাশে
সেটুকুই কেবল উপরে ফেলেছিলাম সাহসে।
সময়ে শেকড়ে পচন ধরেছে।
সেই পচন স্পর্শ করেছে মাটির শরীর।
জীর্ণ এক মাদুরে সংসার পাতা শরীর
প্রাচীন নিদর্শনের মতোই এখন মুমূর্ষু পড়ে আছে।
শরীর এখন আর আগের মতো চলে না!
হৃদয়ের চঞ্চল প্রজাপতি এখন
ভেজা কাকের মতোই যবুথবু।
সেখানে মাঘের শীত ছুঁয়ে আছে বসন্তকে।
চিরহরিৎ বন ঘুমে নিমগ্ন সফেদ কুয়াশার ফরাসে।
কনকনে হিমেল অনুভূতি নির্ঘুম রেখেছে সারা রাত।
অসময়ী ভারি বৃষ্টির দাঁগ লেগে আছে চোখেমুখে।
মাথায় যন্ত্রণা ভর করেছে, চোখ টনটন করছে।
কাতর উন্মুখ প্রেম আমার আহত বাঘের মতো
মাটির উপর সটান পড়ে আছে অযত্নে।
দুই পাড়ের মায়ার ঘূর্নিতে পড়ে
বুকে অজানা শংকা জমাট বেঁধেছে বরফের মতো।
স্বেচ্ছায় নির্বাসনের ভয় নাকি হারানোর ভয়
বুঝাবারও ক্ষমতা হারিয়ে গেছে
অতর্কিত এক গোলকধাঁধায় পড়ে!