জীবন সায়াহ্নে প্রাচীন বৃক্ষের মতো,
আমাদের ইতিহাস লিখেছি পাতায় পাতায়।
কারো চোখের ক্রন্দন লিখেছি-
কারো চোখের সুতীব্র হাসির মাঝে।
কারো চিৎকার অভিমানে চাপা লিখেছি-
কারো হেয়ালীর গুমোট ভীড়ে।
কারো তীব্র আবেদন নিষ্ফলা লিখেছি-
কারো সম্পর্কের গহীন থেকে গহীনে।
পৃথিবীর কোন ফুল ফোটার স্থিরতা দেখিনি এখানে-
কোন গোলাপ ফোটার অপেক্ষাতে।
কারো হৃদয়ের দহনে ঘামতে দেখিনি
কাছের কোন মাটির শরীর।
বিশ্বভ্রম্মান্ডে আমি তুমি বেলাভুমির দুটি বালুকণা।
আমার আগুনে তুমি নিভেছিলে-
ঝলসেছি কেবল আমিই প্রতিনিয়ত, প্রতিপদে।
টলটলা চোখ তোমার তাকায়নি-
আমার চোখের অপ্রশমিত কাম্যতায়।
আমার আজন্ম অপূর্ণ চাওয়া-
লিখে গেছি তোমার পিঠের পরে অহর্নিশ।
ইতিহাস আমার আত্মজীবনীতে।
অতৃপ্ত আত্মারাও শূন্যেই মিলায়।
জাগতিক সব আয়োজন ফুড়ায়।
ফুড়ায় যাচিত অযাচিত সব লেনদেন।
ক্ষ্যাপা আর্তনাদ মিলায় জলোচ্ছ্বাসের তান্ডবে!
আমার মৃত আঙ্গিনা সরব হবে-
তোমার পদভারে তারপর।
প্রতিটি ঘাসকূপে খোলা পাবে-
ইতিহাসের এক একটি পাতা।
শেষ ইচ্ছের কথা বিধাতার চরণে লিখে রেখেছি বিনয়ে।
কি করে সাজাবে তুমি নতুন করে-
তোমার আনন্দলোকের সময়?
কি করে ক্ষমায় এক হয় দু'হাত, উপলব্ধিতে?
আমার মৃত বাসনার বেদীতে-
তোমার প্রভাত অঞ্জলি লুটায় কি ভালোবাসায় ?
উত্তরের এটুকুই লেখা বাকী, ইতিহাসের অন্তমিলে।