এখন আর তেমন কিছুই মনে নেই।
কবে কিসের টান ধরেছিলো মনের মধ্যে!
কবে পূবালী হাওয়া লেগেছিলো তপ্ত তামাটে দেহে!
দুলেছি কবে বয়েসী কোন গাছে লটকানো দোলনায়!
এখন আর তেমন কিছুই মনে নেই।
ভালো লাগার প্রজাপতিরা পদাতিক মিছিলে ছুটেছে-
অনন্তের পথ ধরে - পশ্চিম হতে পূবে,
শরতের ঝলমলে সাদা কাশফুল ছুঁয়ে,
হেমন্তের সোনালী ধান, শীতের কুয়াশা পেড়িয়ে,
বর্ষার টলটলা জলের বুকে ছোট্ট ডিঙি নৌকা করে,
বসন্তের মাতাল হাওয়ায় মাথা দুলিয়ে ছুটছে।
নিশি অরন্যের ফাঁকফোকর গলিয়ে,
ভালোলাগারা ছুটে চলেছে উদ্ভ্রান্তের মতো,
প্রেয়সীর স্বর্গীয় পান্থ নিকেতনের ঠিকানায়।
স্বর্গোদ্যানে - নিসর্গের পথ ধরে।
এখন আর তেমন কিছুই মনে নেই-
কবে কে কোন সুযোগে নখের ফলায়
অনাহত হৃদয়ে আঁচড় কেটেছিলো!
কার আঙুলের আবছায়া ছাপ লেগে আছে মনে !
কবে দু'চোখ ঝাপসা হয়েছিলো
চোখের কোণের ধুলোর আড়ালে!
কবে কে খেলেছিলো নিজের একান্ত অবসরে,
বটের ঝুড়ির সকল প্রান্ত ছোঁয়ার নেশায়
আকণ্ঠ ডুবেছিলো কে অহর্নিশ!
মেনেছি, মনে নেই তার তেমন কিছুই।
স্বজাত রক্ত খুঁজে পাওয়া এক বুকের জমিন।
আত্মার আত্মীয়তা মিলেছে সেখানে অবশেষে।
আমার রক্তক্ষরণের কাতরতা ছিলো সেখানে।
আমার আজন্ম আরাধ্য প্রিয় মুখের জন্মভূমি।
আমার অস্তিত্ব নিমগ্ন আজ তারই ঘাসকূপে।
যুগল হাতে বেঁধেছি অনুপম গ্রন্থি-
আগামী ইতিহাসের কুরুক্ষেত্রে
ভালোবাসার শেষ সীমানা ছুঁয়ে অমরত্ব নিতে।