অতঃপর !
আমায় আর খুঁজে পাবে না !
খুঁজে পাবে না কোন আয়োজনে!
পৃথিবীর এই মহাসমারোহে !
আমি ডুব দিয়েছি অতলান্ত জলে !
হয়তো কোন দিন দেখবে আমায় –
নীল রঙা মাছরাঙার ঠোঁটে !
নয়তো পাবে পানকৌড়ির উদর চিরে,
হৃৎপিণ্ডের খুব কাছে!
নৈঃশব্দের বেদীতে আমার সকল নৈবেদ্য আজ!
এখানে আমার হৃদস্পন্দন থেমেছে!
শব্দের কোলাহল থেমেছে বুমেরাং হয়ে!
ভালোবাসার রঙ ধূসর হয়েছে সময়ের ধুলোয়!
পড়েছিলো বহুকাল ভীষণ অযত্নে, অবহেলায়!
মনের ক্ষতে পোকামাকড়ের ঘরবসতি!
ওদের আবাদ এখন দেহে!
অর্থহীন অপেক্ষা ছিলো মৃয়মান আলোর মাঝে!
অপেক্ষা ছিলো নির্লিপ্ত উপেক্ষার মাঝে!
নিকষ কালো আঁধারের লাবণ্য আমার অস্তিত্ব কেড়ে!
প্রিয় হাসি মুখের মায়ায় অপরিচিত ছায়া!
তীব্র ভালোবাসার অহংকারে উদাসী আত্মা -
নিরর্থক করেছে সময়, স্থবির করেছে গতি!
সময় চলেছে উলটো রথে, উলটো পথে!
দূরত্ব বেড়েছে প্রতিযোগী হয়ে!
শূন্যে মিলিয়ে যাওয়া তারই খেসারত!
যে বিন্দু বিন্দু সময়ের জন্য হৃদয়ে তোলপাড়,
বাঁচুক তারা সসম্মানে চৌকোনা শক্ত পাঁচিল সিন্ধুকে ।
হয়তো বিস্ময়ে অকারণে জলোচ্ছ্বাস হবে!
মুক্তির, মায়ার, নয়তো অন্তহীণ করুণার!
শৃঙ্খল আর বেড়ি পায়ে নিয়ে,
আমি ভাসবো অতলে, অসীম শূন্যে,
মুক্তির রঙের সন্ধানে!
আমি খুঁজে ফিরবো হারিয়ে গিয়ে,
মৃত্যুর কাছে গিয়ে, মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে !
খুঁজে ফিরবো-
হারিয়ে যাওয়া আমাকে!
হারিয়ে যাওয়া তোমাকে!
যা হারিয়েছিলো চরম ঔদাস্যে,
ক্ষমাহীন উন্নাসিক প্রমাদে!