প্রাচীন অট্টালিকার সিঁড়ি ভেঙ্গে ভেঙ্গে
আজ এক বিস্ময় তুলে রাখলাম-
আরও একটু উঁচুতে উঠে গিয়ে।
আমার আজন্ম লালিত
স্বপ্ন ছাপানো বিস্ময়!
বিস্ময় চোখে মুখে, বিস্ময় আমার মানসপটে।
এক আকাশ সম শুভ্রতার সৌন্দর্য
গোলাপের স্নিগ্ধ রঙ নিয়ে
বিস্ময় জাগিয়েছে আমার চোখের সামনে।
মুখর মৌনতায় বন্ধ ছিল আমার জবান।
চঞ্চল ঝর্ণার আছড়ে পড়া ধোঁয়াশায়
ভিজে গেছে মন, ভিজেছে চোখের বারান্দা।
প্রস্ফুটিত গোলাপ পাপড়ির
পেলব স্পর্শে শিহরিত মন হয়েছে উচাটন।
কাঁকন হাসির মৃদুল শব্দ তরঙ্গে
হৃৎপিণ্ড স্পন্দন হারিয়েছে ক্ষণিক সময়।
আমি প্রকৃতির আরশিতে খুঁজে পেয়েছি
বিস্ময়ে অভিভূত আমার জোড়া চোখ।
শরতের হঠাৎ বৃষ্টি দেখেছি আজ বসন্ত বাতাসে।
বৃষ্টি ঝড়ার টুপটাপ শব্দ
অস্থির প্রশান্তি দিয়েছে আমার অশান্ত বুক জুড়ে।
আজ শহরের অলিগলি ভেঙ্গে
জোছনার ফেরিওয়ালারা মিছিলে নামবে
বহতা জীবনের লেনদেন চুকে নিতে।
কল্পনায় দূর নক্ষত্রের মায়া কেটে
আমিও বের হবো ঘর থেকে সঙ্গোপনে
জ্যোৎস্নাজ্বলা মায়াবী চাঁদের খোঁজে-
যেমন দেখেছি আজ গোলাপ ঝলকানো
ছায়াবীথি তলে এক অবগুণ্ঠনচেড়া মুখ।
আমার প্রাণ ভেসে গেছে দিনভর
রূপসাগরের ঢেউয়ের তালে নৃত্য করে করে।
এবার শেষ হয়ে যাক দিনের খেলা।
কেটে যাক কুয়াশা শিশিরের আবছায়া দ্বন্দ্ব।
শূন্যতার চিরায়ত দহন নিভে যাক
ভরা চাঁদের ভুবনজয়ী হাসির ঝলকে।