ইচ্ছে করে-
একবার নিবিড়ভাবে স্পর্শ করি তোমায়!
দেখি অশরীরী কোন পূন্য আত্মা,
নাকি দৈব আসা তুমি লৌকিক কোন কায়া?
কেমন এক দুর্নিবার সত্তা অষ্টেপৃষ্ঠে মিশে আছে
আমার সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে!
আমার জন্ম থেকে আজ অবধি-
কোন পূন্যের অতর্কিত আরোপন এটি?
নাকি সৃষ্টির আঁতুড়ঘর থেকে জুড়ে থাকা
বিধাতার আঁকা দুর্বোধ্য ধূসর ছায়া?
রহস্যের বলয় ভাঙ্গতে চাই বিনীত স্পর্শে।
হাটু গেড়ে দু'হাত জোর করে বসেছি।
আমার এক চোখ দিয়ে প্রবেশ করো।
প্রবেশ করো আমার শরীরের প্রতিটি রন্ধ্রে।
প্রমাণ হও তুমি স্বয়ং, তোমার পার্থিব অস্তিত্বে।
আমি তেমন করেই ধারণ করি তোমায়,
আমার দেহের শিরায় উপশিরায়, রক্ত কণিকায়।
যেমন রূপে, গড়নে তোমায় দেখি চোখের সামনে।
তোমার সৌরভ সত্তার কাছে,
আমার নৈবেদ্য অর্পণ আজ।
আমায় তুলে ধরো দু'হাত চেপে।
চেপে ধরো বুকের গহীনে দৃঢ় বিশ্বাসে।
গলেমিশে এক হয়ে বাঁচি দু'জনে।
চলো ঝর্ণার প্রবাহ দেখি উৎস থেকে পতনে।
ঘুম ভাঙ্গা পাখির ঘরে ফেরার গল্প শুনি।
ঘাসের পরে এক বিন্দু শিশির দেখি দু'জনে মিলে।
চারিদিকে কপট বিশ্বাসে গুমোট হাওয়ার নিস্তব্ধতা।
অবিশ্বাসের দীর্ঘশ্বাসে নীল হয়ে আছে আকাশ।
পেঁজা তুলো মেঘে ভাসে মৃত হৃদয়ের হাহাকার।
ক্রন্দিত দুঃসময়ের অসহায়ত্ব ভাঙ্গি দু'জনে মিলে।
অতীন্দ্রিয় আখ্যান পরিপাটি মলাটে ঢাকি সযত্নে।
আমার এমনই এক ঠিকানা দরকার।
বুকে হাত চেপে একটু স্থির চিত্তে বসবার দরকার।
এমন একটু অকর্ষিত কোমল মাটি দরকার।
যেখানে দাঁড়িয়ে শূন্যে দু'হাত ছুড়ে,
নির্মল নিঃশ্বাস নিতে পারি বুক ভরে।
অস্পৃশ্য তুমি দৃশ্যমান হও-
তোমার সহজাত স্বপ্নীয় আলোড়ন তুলে।
দৃশ্যমান হও ধূসর মরীচিকা মায়া কেটে।
নির্মল করো, প্রশান্ত করো এই অস্থির চিত্ত -
আমার দগ্ধ কপালে তোমার অনুরাগের মাদুলি ঘষে।
আমি হারিয়ে বাঁচি, তোমার অতলান্ত প্রেম সরোবরে।