কুয়াশার চাদরে বিশ্বাস মুড়েছিলে।
তাই একটা পুনর্জন্ম দেখোনি,
ভালোবাসার গহীনে অমিয় মৃত্যু দেখোনি,
মৃত আত্মায় জীবনের অঙ্কুরও দেখোনি।
জেনেছো কেবলই বয়েস গোনার মন্ত্র।
নির্মল নিঃশ্বাস নিয়ে বাঁচতে শেখোনি।
জমিয়েছো পদে পদে অপমৃত্যুর আসর।
গোলাপের সৌন্দর্য দেখোনি গোলাপ বাগানে বসে।
উদার আকাশ দেখোনি চালাহীন ঘরে শুয়ে থেকে।
পাখি দেখোনি পাখির অভয়ারণ্যে থেকে।
নিদ্রিত বিশ্বাস নিয়ে তাই স্বাধীনতাও দেখোনি।
শব্দহীন মন্ত্রে আত্মঘাতী পণ করেছো।
নিশ্চুপ মরে থেকে মারতে শিখেছো।
উৎসব আয়োজনে বেদনার ঘুঙুর পড়েছো।
সনাতন সুখ জহরত মাটিতে রেখেছো।
আয়নায় অচেনা নিয়তি বরণ করে
মধ্যরাতে গোপনে অশ্রু ফেলতে শিখেছো।
অভিমানের আড়ালে স্বেচ্ছায় ভুলের পাহাড় গড়েছো।
মৌনীমুখে বুক যতই ভুলে যাক আলিঙ্গনের কথা
সময় একদিন হৃদয় চিড়ে দেখাবে।
এক নবজাতক প্রেম নির্দোষ বয়েসী হয়েছে দেখবে।
পরম বিশ্বাসে মায়ায় তোমার বুকের ভাঁজেই
সেদিন তার নির্ভিক আশ্রয় মিলবে।