চোখ বন্ধ হলেই বরং স্পষ্ট দেখতে পাই!
সিঁথি'র দু'পাশ দিয়ে নেমে পড়া
বাহারী দেবদারু পাতার দোল।
মহুয়ার বিভোর গন্ধে আমার উদাস আঙ্গুল।
নখের ডগায় উঠেছিলো কিছু ভুলের বীজ।
আমার বুকের জমিনে সযত্নে রোপন করেছিল
আমার অদম্য সাহসী হাত।
চোখের ঝিলে ভাসা টলমলে জল
তৃষ্ণার্ত করেছিলো গুমোট তপ্ত রাতে।
মধ্যরাতে অন্ধকারের পিঠে
তুমি কি আমার মতোই লিখে রাখো
আরব্য রজনীর এক একটা কাহিনী?
আমার মতোই কি তুমি আকাশের গায়ে লেখা
তারাদের আজন্ম ইতিহাস পড়ো রাতভর?
আমার নিঃসঙ্গতায় হরহামেশাই
তোমার অধিকারের চর্চা।
আমার প্রাত্যহিকীতে তোমার নিত্য আনাগোনা!
আমার প্রতিদিন এক একটা প্রথম দিন।
আমার রোজকার অভিভূত প্রেম
এক একটা অচেনা স্বর্গীয় অনুভূতি।
বেদনার তরী ভরে বেয়ে চলি বিভোর সুখ।
সুখের ওপারে বসে দু'হাতে কান্না চাপো তুমি
আমাদের সমান্তরাল ব্যবধান ঘুচবে একদিন
মনের গহীনে আশায় ঘর বাধি দু'জনেই রোজ।
আমাদের দুরত্ব সাক্ষী, আমরা কতো কাছের।
আমাদের নিয়ত নিরাশা জানে
আমরা কতোটা আশায় বাঁচি!
আমাদের দুরারোগ্য বিরহ জানে
আমরা কতোটা প্রেমে মাতি!
স্বপ্নলোকে প্রথম স্পর্শ, প্রথম পরিচয়।
একদিন এই শুন্যতার বাঁক মুছে যাবে নিশ্চিত
আমাদের উদ্দাম প্রেমের গতির কাছে।