বেশ তো!
যে অভিমান শানিয়ে দুর্গম পথের যাত্রীর মতো
জন্মান্তরের ফেরার হয়েছো,
তার চেয়েও ঢের বেশী অভিমানী নিমিত্ত
আমার এই অলিন্দেই জমানো ছিল।


ভালোবাসার জরিন চাদরে ঢেকে রেখেছিলাম
প্রেমের গায়ে ফোটা জলবসন্তের শত চিহ্ন।
কত সহস্র বর্ণ শব্দ বাক্সবন্দী করে
সিকেয় তুলে নিভৃতে ভালোবেসেছিলাম!
দু'চোখে কতো ভোরের স্বপ্ন নিয়ে
অমাবস্যার আঁধার ঠেলেছি ঘর্মাক্ত শরীরে!
কতো ভাঙ্গা পথঘাট সারিয়ে সারিয়ে
যুগল চলার পথটুকু মসৃণ করেছিলাম!
ফেরারী পাখিরা আজ যেতে যেতে
অগোচরেই সব এলোমেলো করে গেল।


বুকের ভেতরে পোষা ছন্নছাড়া স্বপ্ন
মুমূর্ষু পাখির মৃদু ডাকের মতো মিলিয়ে যায় আকাশে।
অস্ফুট মরণ চিৎকারের বিকট শব্দ
কেবল আমার কানেই পৌঁছে ব্যতিব্যস্ত হয়ে।
আমি না পারি তার পথ রোধ করতে
না পারি তাকে বুকে চেপে আলিঙ্গন করতে।
কেবল অভিমানী ফানুসে আগুন জালাই
দূর তারাদের সঙ্গী হতে।