দূর আকাশের নক্ষত্রের খেয়া, আর
আচমকা ভেসে আসা অচেনা রঙিন ফানুস!
কারে তুমি ডেকে নিলে ইশারায়?
কারে তুমি জানিয়েছ বিদায়
নতুন আনন্দের ভীড়ে?
আমার বিস্ময়ের চোখ ব্যতিব্যস্ত ছিল
বহু বছর ধরে আশ্রয় দেয়া ছায়াতরুটির খোঁজে।


যে পরবাসী মন ঘষে ঘষে বানিয়েছিলে হিরে
হৃদয়ে আমার মস্ত ক্ষত করে দিয়েছিলে তার আসন
আজ কেমন ক্লান্ত শরীর আঁধারের আলিঙ্গনে
ফিরে পেতে চায় অতীতের ঘ্রাণ!
এ কি তোমার বহুকালের জঞ্জাল ভাঙ্গা
ক্লান্ত কায়ার আবেদন?
না কি সততার শৃঙ্খল ভাঙ্গা
অসভ্য জন্মের কোন হাতছানি?


তোমার বেখেয়াল চলাচল আমার কপালের ভাঁজে এঁকে দিয়েছিল একরাশ গ্লানি।
ওরা বেড়ে উঠছে আজ মগজে প্রহেলিকার মতো।
ক্ষত হৃদয়ের ঘা পুড়ে যায় শূন্যতার দহনে
চোখের ভাষা, মুখের শব্দ স্তব্ধ হয়ে আছে
অনাহুত ঋতু বদলের ভোরে।
এরপর আর কোন জন্ম এলে ফিরিয়ে দেবো সসম্মানে।
সায়াহ্নে অবসন্ন দেহ পড়ে থাক অভিমানে, ক্ষোভে
প্রিয়তম চাঁদটুকু আর দেখা না পড়ুক
মধ্যরাতের কোন আঁতুড়ঘর হতে।