কাছে থেকেও তুমি কাছে নও!
দৃষ্টির সীমার মাঝে তুমি দূর আকাশের তারা!
তুমি আমার চিরকালের না পাওয়া অধরা বিহঙ্গ।
তবু হৃৎপিণ্ড ছুঁয়ে থাকো আমার ঘুমে, জাগরণে।


কবে কোন জাহাজ ডুবে গিয়েছিল মাঝ সমুদ্রে
তীর খুঁজে পাওয়া নাবিক আজও হয়ে আছে তৃষ্ণার্ত।
কবে কোন জনসমুদ্রে নিয়তি নিক্ষেপ করেছিল আমাকে
আমি আজও নিঃসঙ্গ হাঁটি সেই ভীড় ঠেলে ঠেলে।


এক মরীচিকা মায়ার পেছনে ছুটেছি অধরা জেনেও।
সময় হারিয়ে নিঃসঙ্গ পথিক হয়েছি অচেনা পথের।
সেই মায়াটুকুই এখন আমার বেঁচে থাকার আনন্দ
ভোরের প্রার্থণার মতো আমার নিত্যদিনের প্রশান্তি।


সময়ের হাতে তুলে দিয়েছিলাম একদিন
কিছু আদুরে চাওয়ার ফর্দ।
অসময়ী পাওয়া আজ মৃয়মান হয়ে আছে
সেই কিশোর চাওয়ার কাছে।
প্রেয়সীর ঝিল চোখে রেখেছিলাম
আমার পদ্ম পাতার জল।
হৃদয়ে বুনে দিয়েছিলাম প্রথম প্রেমের বীজ।


সময়ের ধুলো জমেছে মনে,
নিয়তির কঠিন হিসাবও মিলেছে।
আমি কেবল ছিটকে গেছি আমার কক্ষপথ থেকে দূরে।
পথহারা পথিকের মতো হেঁটে গেছি গন্তব্যহীন।
আমি আজও হাঁটি! চিরকুটে লেখা ঠিকানা ধরে খুঁজি!
যদি পেয়ে যাই কোনদিন প্রিয় সেই মুখ,
যুগ যুগ ধরে অন্তরে - জমিয়েছি যে সুখ!