আমি ফিরে ফিরে আসি -
পরিচিত এই গাঁয়ের চেনা মায়ায়!
সবুজ পাতায় বোনা পালে -
তার মুখচ্ছবি ভাসে।
ভাসে, শূন্যে মিলায় নিমিষে!
ঘন নিবিড় কুঞ্জ মাঝে পড়েছিলো -
এক অশরীরী ডাক!
ছিন্নপত্র পড়েছিলো মাটিতে!
কাকের ঠোঁটে ভিড়েছিলো কিশলয়!
কোথায় তার বাস, ঠিকানা জানা নেই!
হয়তো কোন শহরের বড় কোন অট্টালিকায়,
অথবা কোন দেবদারুর চূড়ায়,
অথবা কোন বটের ডালে নিবিড় ছায়ায়,
অথবা বিলের জলে হিজলের তলে -
যেখানে বাতাস জল ফুল খেলা করে।
আমি হেঁটে এসেছি শহরের গলিপথ ধরে।
হেঁটেছি লোকালয়ে, লোকালয় ছেড়ে দূরে।
চলে এসেছি শ্যামল গাঁয়ের আলপথ দিয়ে।
যদি পাই কচি ধানের শীষের পরে
শিশির বিন্দু রূপে তারে !
অথবা পাই দিগন্তের পাড়ে,
হলদে সবুজ আঁচল বিছানো পথে!
গরুর পাল নিয়ে সামনে চলা রাখালীর চোখে!
আমি খুঁজি তারে উড়ে যাওয়া ধানশালিকের ভীড়ে!
ওরা বলে গেছে এখানেই খুঁজো তারে।
তারে পাবো...
হয়তো পাবো কোন শীত ভোরের কুয়াশার ভাঁজে!
তার পায়ের চিহ্ন পড়ে আছে -
মেঠো পথে - পথের পরে পথে,
দূরে, চোখের সীমানা ফুঁড়ে!
তার শরীরের ঘ্রাণ মিশে আছে -
এই নদী জল প্রান্তরে,
রোদের গায়ে বিছানো পানকৌড়ির ডানাতে,
লাউ কুমড়া'র মাচার পরে,
শর্ষের আঙ্গিনা জুড়ে!
এখানেই ছিলো সে!
এখানেই তার ছায়া!
এখানেই পাবো জানি!
পথের ছিন্ন মায়া!