সব চলে যাওয়ায় কি থাকে
বিদায়ের সমান আয়োজন?
সব আসার মাঝে কি থাকে
কাছে আসার প্রয়োজন?
যত আড়ম্বর থাকে আমাদের
কপাটবদ্ধ অগন্ত প্রস্থানে,
গহীনের নিবিড় কান্নার শব্দে
হৃদয় ভিজে যেন ততই চুপচুপে।
যে দীঘির কাছে থেমেছিলো
বাঁশরিয়ার মাতাল করা বাঁশরি।
সেখানে ভাসবে না হংসমিথুন
ফিরবে না আর কেউ কোনদিনই!
তবুও হৃদয় চাহে না কোন ক্ষণে
থেমে যাওয়া বাঁশরির নতুন সুর।
অর্থহীন চাওয়া বুমেরাং ফিরে
বিমর্ষ বদনে দূর হতে বহুদূর!
যতটুকু প্রাপ্তি ছিল জীবনে প্রেমে
পূণ্য হৃদয়ের উজার করা দান;
রঙ বদলানো হৃদয়ের কাছে,
কে হারাতে চায় তার মান!
সময়ের দীপ জ্বলে অনির্বাণ
অসময়ের বিষন্ন পথ জুড়ে।
যে চিনেছে দুর্গম সে পথ
হাতে ক্ষুদে বর্তিকা নিয়ে,
কূল চায় না সে কারো কাছে
কারো কাঁধে মাথা রেখে।
চোখের জলে সন্ধির কথা নেই
অনাহূত বৃষ্টির জলের সাথে!
দুরাচারী মন বোঝে না কখনো
পাপের অরুপ প্রমাদ রূপ।
নিষিদ্ধ বাসনায় পুলকিত মন
উল্লাসে নাচে তাই নিশ্চুপ।
অনন্ত প্রস্থান আমার তাই
তোমার অশুচি হৃদয় থেকে।
বিদায় আমার শুধু জানি
বড় সৌম্যে, বড় গৌরবে।
হাস্য বদনে যাই প্রস্থান মানি
দীপ্ত প্রেমের সৌরভে।