পৃথিবীর মোহ আর জাগতিক নিয়ম ভেঙ্গে
আমরা বেঁধেছি ঘর সীমাহীন নিস্তব্ধতার মাঝে।
যুগল অবকাশে আমরা মেতেছি বহুকাল।
নিত্য নতুন অনুভবে খুঁজেছি বিভোর সুখ
অনাগত সময়ের প্রতিটি বাঁকে।
বিস্ময় জেগেছে মনে দর্পণে মুখ দেখে।
হাতের নখে গালে আঁচড় কেটেছি।
কপালের ভাঁজ গুনে ভাগ্য পড়েছি।
নির্বাক চেয়ে থেকেছি নিজের দিকে।
একি আমি? নিজেকে ভাঙ্গছি, নাকি গড়ছি?
নাকি সময়ের স্রোতের কাছে পরাভব মানা
হালভাঙা বিপন্ন নাবিক বনেছি আমি ?
পারিজাত প্রেমের বেহেশতী সৌরভে
মাতাল হয়েছি বহুবার।
লক্ষ প্রতিশ্রুতি রক্ষী হয়েছে গোপন প্রেমের।
পরম পুলকের রঙ লেগেছে শরীরে মনে।
মৃত হরফে প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া ছিল কঠিন তবুও।
বিশ্বাসের কুঁড়িতে অবিশ্বাসের কীট জেগেছে নিয়ত।
বিভ্রান্ত প্রেম মুখ থুবড়ে পড়েছে কতবার
বহু কালের যত্নে বোনা কাঁটাতারের সামনে এসে।
অস্থির সুখের অসুখে পড়ে
বেমালুম ভুলে গিয়েছি সময়ের হিসেব মিলাতে!
কল্পনায় বুনেছি তারার মালা
আকাশের বুকে আঙ্গুলে দাঁগ টেনে টেনে।
বিনিদ্র রাতে লক্ষ তারার মাঝে
দ্বিধায় ভাসমান জ্বলজ্বলে ধ্রুবতারা।
বুকের উষ্ণতায় শীতনিদ্রায় নিমগ্ন প্রাণ
জড়াজড়ি করে হেঁটেছে মহাকালের পথে।
তবুও আজন্ম নিঃসঙ্গতার ছায়া মিশে আছে
আমাদের ঘরে, আমাদের সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে।