শেষ বিকেলের মেয়ে,
ফাল্গুনের পূর্নিমা রাতে তোমার হাতধরে পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো।
খেয়ায় ভেসে কাশফুলেদের বন বাঁক ঘুরে,
সাথি হারা বনহংসের আর্তনাদ শুনতে শুনতে
তোমার কাঁধে মাথা রেখে ,
একটা অদেখা স্বপ্নদেখার কথা ছিলো।


পলাতকা মেয়ে,
বাসন্তি রঙ্গে রাঙ্গা এক হলদে শাড়ি পড়িয়ে,
তোমার,
তোমার খোপায় একটা সদ্যফোঁটা গোলাপ গুজে দেয়ার কথা ছিলো।
তোমার হাতগলে দিয়ে শিশিরের জলে বোনা
স্বচ্ছচুড়ি জোড়া পড়ানোর কথা ছিলো।


অতঃপর তোমাকে আমার আরও অনেকগুলো কথা দেয়াছিলো মেয়ে।
কথা রাখতে পারিনি,
সময় রাখতে দেয়নি।
আমার আকড়ে রাখা তোমায়
কেড়ে নিয়ে দূর আকাশের সপ্তর্ষি বানিয়ে দিয়েছি নিয়তি।
তাই তুমি দূরে মেয়ে।
তাই আমার পূর্নিমা কাটে একাকি হাসনাহেনার ঘ্রান শুকে শুকে।
আমিও আজকাল আর্তনাদ করি বনহংসের মত বোবা চিৎকারে শিহরিত করি নিজেকে।
আজকাল আমার ফাল্গুনী উঠনে আর শিশির ঝরে না।
তবুও ফাল্গুনের সেই রাতে একাকি অপেক্ষায় থাকি।
অপেক্ষায় থাকি,
লজ্জাবতী মেয়ে,
যদি ফিরে আসো তুমি
ফিরে আসো আরেক ফাল্গুনে।


(আরেক ফাল্গুন)
14-2-'14