আজ আমি বড্ড অসহায়, লেখার ভাষা নাই,
কি লিখিব, কি না লিখিব খুঁজিয়া ফিরি তাই।
সকাল হতে বিকাল, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত, সময় চলে যায়-
তোমারে স্মরিতে আমি বৃথায়, ব্যাকুল অস্থির হায়।
কি লিখিব হায়? কেমনে পূজিব তোমায়? কোথায় দিব অর্ঘ্য?
আপাদমস্তক পূজনীয় তুমি, তুমিই কাবা-মসজিদ-মন্দির-স্বর্গ ।
তুমি মহামায়া, তুমি শতরূপা, তুমি চির অম্লান ,
তুমি অপরূপা, জননী সাহসিকা, শাশ্বত কল্যাণ।
নানারূপে রূপায়িত তুমি, কভু মা, কভু স্ত্রী, কন্যা, ভগ্নি ,
অসহায়ে মঙ্গলকামী, অন্যায়-অবিচারে মূর্তিমান অগ্নি।
তুমি মমতাময়ী, তুমি আলোর দিশারী, তুমি দুর্বার অগ্রসর ,
যুগে হতে যুগ চলছে তোমার, নশ্বর এ ভুবনে তুমি অবিনশ্বর।
চপলা-চঞ্চলা,কালবৈশাখীর ঝড়ো হাওয়া, নৃত্য-পাগল ছন্দময়,
উদ্দাম তুমি, উচ্ছ্বল তুমি, জীবনে তোমার নেই’কো ভয়।
আবার কখনো রাশভারী, গম্ভীর, শক্ত হাতের কাণ্ডারী-
সমান তালে সব কর সামাল, তুমি হলে প্রকৃত ঝান্ডারী।
তোমা পদভারে কাঁপিয়া উঠে দূর পাহাড়ের সুউচ্চ চূড়া,
তোমার তরেই উন্মোচিত হয় মরুর বুকে ফুলের তোড়া।
নীল নবগগণে, উত্তাল সমুদ্রে, নাচিয়া-খেলিয়া যাও,
কত অসাধ্য সাধিত তোমায়, কত ভুল-ভ্রান্তি হটাও।
তুমি মুক্তির পথ, মানবতার সনদ, শান্তিকামী মহিয়সী,
অন্যায়ে তুমি অসুর নাশিনী, পাপ বিনাশী, অসীম সাহসী।
শীতলা তুমি, চন্দ্র-তারা; রণমূর্তি চন্ডি পৃথ্বীর তেজস্বী ,
জয়-পরাজয় তুমিই উর্দ্ধস্থান, তুমি হলে যশস্বী।
অবনত মস্তক, তোমার ধুলি পায়, তুমি দিও ঠাঁই।
তুমিই মহান, তুমিই কল্যাণ, সহস্র সালাম তোমায়।


৮/৩/১৯