**
তির তির করে কেঁপে গেলে জল তুমি ,
পাশে কচুরীপানার আবেগ তোমায় মাতালো না কেন গো । কচুরীপানার রাগ -
জলে বাঁচতে দিলে অথচ একদম আবেগ শুন্য হয়ে – কচুরীপানা বললে
“তুমি তো প্রতিদিন হা করে আকাশ দেখো
অথচ আমার বুকে থেকে আমাকেই ভুলেই থাকো
এটা সহ্য হয় বলো ” ?? জলের খুব রাগ
কচুরীপানা কেঁদে কেটে একাকার হলো -
আমাকে বোঝনা তুমি একদমই না —————


**
ঘাসফুলের কাছে পরী এলে তার যে সে কি লজ্জা , বিস্ময় – ও মাগো এত সুন্দর কেন গো তুমি -
ছোট তুলতুলে পরী বললে – তুমি আরো সুন্দর – কি সুন্দর গোলাপী গোলাপী ,সাদা মাখন মাখন ,
আমাকে দেবে তুমি তোমার ঐ রঙ- রূপ- গন্ধ ?
নাও নাও নাও – ঘাসফুল এলিয়ে দিলে তার খোঁপা
নাকফুল আর চোখের কাজল সব দিয়ে দিলে
পরী ভীষন পুলকিত -
রাগ কোরছো না তো তুমি ?
না গো একদমই না -
তুমি ভীষন সুন্দর –
তোমাকে সাজাতে আমার কি ভীষন ভালো লাগে ! জানো না তুমি !!
আমি জানি না তো – লজ্জা পেল পরী -
আহা কেন এরকম করছো ?
আমি যে তোমাকে ভালবাসি গো ! –
আহা কি যেন ভালবাসা -
দেখ তো মৌমাছি এলেই তো আমাকে ভুলে যাবে -
এমন দুলিয়ে দুলিয়ে হেসে হেসে কথা বলো আমার গা জ্বলে যায় -
সে কি গো ? ঘাসফুল বললে অবাক চোখে -
সে তো আমি এমনিই বলি !
তাই বলে তোমাকে ভালোবাসি না বুঝি ?
হুম হুম খুব বাস – পরী মেয়ে একদম অভিমানী -