লক্ষ্মী মেয়ে পড়তে বস
ঝাঁটা টা দাও আমার হাতে
আমার ঘরে জমছে ঝুলো।


মেয়ে তোমার স্কুলে যাওয়ার সময় হলো
বাসন রাখ
দাঁড়াও তোমায় এগিয়ে দিই স্কুলের গেটে
হাতে হাতে কাজটা তোমার করে নেব
ভেবো না তো।


বিকেল বিকেল ছুটির পরে খেলতে যেও
সবুজ মাঠে
ক্ষুধা পেলে খেয়ে নিও সবার আগে
এসো তোমায় ভাত বেড়ে দিই।


ওমা তুমি পোষা পাখি ছেড়ে দিলে
বাঁধন খুলে? বেশ করেছ
ছাড়বে না কি?
সারাজীবন বেঁধে রাখবে বন্দি বুকে?


ওমা মেয়ের কাণ্ড দেখ
পড়তে পড়তে ঘুমিয়েছে
এসো গো মা লক্ষ্মী আমার
তোমায় খাটে শুইয়ে দেব।
দেখ কেমন হাসছে মেয়ে ঘুমের মাঝে।


স্বপ্ন দেখছে,
ভাইয়ের মত ফিরছে সেও আকাশ জিতে
খেলার মাঠে ছক্কা হাঁকায়
সাগর পেরোয়, বিশ্বটাকে আগলে রাখে বুকের কাছে।


যুদ্ধ কিসের?
এখন সময় বিনির্মাণের
সবুজ ঘেরা বিশ্বটাকে শান্তি জলে
ধুয়ে মুছে
ক্লান্তি পথের গ্লানিখানি মুছিয়ে দেয়,
স্বপ্নগুলো মুখের উপর লাল সবুজের
নানান রঙে ছবি আঁকে,
নদীগুলো শুদ্ধ জলে সাঁতার কাটে
শব্দ শোনে ভোরের পাখির কিচির মিচির
ওজন ফাটল ভরিয়ে দেয় ভালবাসায়।


সারা গায়ে মধুর পরশ বুলিয়ে দেয় মিষ্টি হাতে
বিশ্বটা তার পুতুল মেয়ে যত্ন করে আগলে রাখে কোলের কাছে।