যাস   কোথা সই একলা ও তুই অলস বৈশাখে?
জল   নিতে যে যাবি ওলো কলস কই কাঁখে?


     সাঁঝ ভেবে তুই ভর-দুপুরেই দু-কূল নাচায়ে
     পুকুরপানে ঝুমুর ঝুমুর নূপুর বাজায়ে
          যাসনে একা হাবা ছুঁড়ি,
          অফুট জবা চাঁপা-কুঁড়ি তুই!
     দ্যাখ্ রং দেখে তোর লাল গালে যায়
          দিগ্‌বধূ ফাগ থাবা থাবা ছুঁড়ি,
          পিক-বধূ সব টিটকিরি দেয় বুলবুলি চুমকুড়ি –
ওলো  বউল-ব্যাকুল রসাল তরুর সরস ওই শাখে॥
     দুপুর বেলায় পুকুর গিয়ে একূল ওকূল গেল দুকূল তোর,
     ওই চেয়ে দ্যাখ পিয়াল-বনের দিয়াল ডিঙে এল মুকুল-চোর।
          সারং রাগে বাজায় বাঁশি নাম ধরে তোর ওই,
          রোদের বুকে লাগল কাঁপন সুর শুনে ওর সই।
                    পলাশ অশোক শিমূল-ডালে
                    বুলাস কি লো হিঙুল গালে তোর?
আ –  আ মলো যা! তাইতে হা দ্যাখ,
     শ্যাম চুমু খায় সব সে কুসুম লালে
     পাগলি মেয়ে! রাগলি নাকি? ছি ছি দুপুর-কালে
বল   কেমনে দিবি সরস অধর-পরশ সই তাকে?


   (ছায়ানট কাব্যগ্রন্থ)