আত্মহত্যা
----------------
--------নজরুল ইসলাম খান


চোখের সামনে করল সে আত্মহত্যা ।
চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছু্ই করার থাকল না ।
জীবন কি এতই তুচ্ছ , এতই অবহেলিত !
আর কিছু দিন অপেক্ষা করতে সে পারল না।
সবইতো ছিল তার, স্ত্রী সন্তান,
অর্থ বিত্ত , মান সম্মান ।
তার পরেও  কেন সে হল এত অধৈর্য ?
নিজেই খুঁজে নিল মৃতের ঠিকানা ।
মানুষ তো চিরকাল বাঁচে না ,
কিছু দিন পরে হয়ত স্বাভাবিক ভাবেই
মৃত্যু এসে দাঁড়াত তার সমুখে  ;
ততদিন তার আর সহ্য হল না ।
সৃষ্টি কর্তার নিয়ম ভেঙ্গে ,
নিজেই বেছে নিল আত্মহননের পথ ।
মহাপাপকেই নিল সে সাথী করে ।
কে জানে কী হবে তার শেষ আস্তানা ।
অতি আধুনিকতাই মানুষ কে করে অধিক হতাশা।
চাওয়া পাওয়ার সামান্য ঘাটতি ও মেনে নিতে চায় না ।
অথচ , দিন আনে দিন খায় মানুষ ও  
জীবন কাঁটায়  আনন্দে ,
করেনা দুশ্চিন্তা অযথা ।
ভাগ্যকে মেনে নেয়  অবলীলায় ,
হাসি মুখে করে কাজ সর্বদা।
যাদের বেশি আছে ,
তাদেরই অনন্ত চাহিদা ।
শুধু ভোগ বিলাসই চিনেছে,
জীবনের উদ্দেশ্যই হয়ত জানে না ।
স্বার্থপর মানুষেরা জীবনের সাথে তার করেছে ছলনা ,
আত্ম হত্যা করে তাই  খোঁজে আশ্রয় ।
দেখায় জীবনের ব্যর্থতা ।
পায় শুধু মানুষের করুনা ।
মানুষকে হতে হবে  আরও দায়িত্বশীল,
এমন দুর্ভাগ্য যেন কারও জীবনে আর আসে না।


০৬/০২/২০২২