দীর্ঘশ্বাস
-------------
---নজরুল ইসলাম খান


আমাদের যে পোষা কুকুরটি ছিল ,
হঠাৎ একদিন হাঁপিয়ে  এসে
উঠোনের এককোণে দাপিয়ে  মরে গেল ।
বাড়িতে ঢুকতে পারতো না বলে
কেউ হয়ত তাকে বিষ খাইয়েছিল ।
আমরা তাকে ঠিকমতো খাবার দিতে পারতাম না,
তাই মাঝ মাঝে বাইরে যেতো খাবারের সন্ধানে ।
তবুও আমাদের প্রতি তার কী  অপরিসীম ভালোবাসা ছিল !
মরার আগে আমাদের তাই শেষ দেখাটা দেখতে  এলো।  
পোষা বিড়াল ছিল,  
সেও  একদিন মরে গেল,
দু'একটা পোষা পাখি বা অন্য প্রাণীও
চোখের সামনে মরে গেল।
তাদের সবার কথা মনে পড়লে এক গভীর  দুঃখ বোধ হয়,
তাদের প্রতি ভালোবাসা জাগে,
ঘৃণা বোধ হয় না কারো জন্য ।
তারা সবাই আমাকে দিয়েছিল  অনাবিল  আনন্দ ,
ক্ষতি করেনি কোনো।  
কিছু কিছু মানুষ ছিল যাদের দেখলেই অন্তরে ভয় কাজ করতো,
দৌড়ে পালিয়ে যেতে মন চাইতো।
কখন কী ক্ষতি করে বসে সেই আশংকায় হৃদয়টা চুপসে যেতো।
এখনো তাদের কথা মনে পড়লে ঘৃণা বোধ হয়,
দুঃসহ স্মৃতিরা তাড়া করে ফেরে।
আমি মরে গেলেও কোন কোন মানুষ খুশী হবে ,
ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলো গালি দেবে ।
কেউ কেউ হয়তো কষ্ট পাবে,
বিরহে সবার দীর্ঘশ্বাস পড়বে না।
পোষা প্রাণীগুলোর জন্য এখনো আমার যেমন দীর্ঘশ্বাস পড়ে !
আমরা সব মানুষ সবার আনন্দ হতে পারি না।
সবার কষ্ট বুঝতে পারি না।
শুধু কষ্ট দিতে পারি ।


০৪/০২/২০২৩