যতদিন
-------------
------------নজরুল ইসলাম খান


যতদিন ছিল দেশ গরীব , মানুষ ছিল অস্বচ্ছল ।
ততদিন ছিল মানুষে মানুষে মিল ভালবাসা প্রাণোচ্ছল ।
এ পাড়ার কারো হঠাট বিপদ, অসুস্থতা বা মৃত্যুতে ,
ও পাড়ার সবাই ছুটে আসতো, নির্দ্বিধায় রাত্রি নিশীথে ।
ও পাড়ায় কোথাও বহিঃশত্রু বা চোর -ডাকাত পড়লে ,
এ পাড়ার  লোকজন ছুটে যেত, ধর-মার শোরগোলে ।
ও পাড়ার বুড়ি রহিমের মা'র ঝড়ে গেছে ঘর উড়ে ,
এ পাড়ায় এসে করিমের বাড়িতে, থাকতো বছর জুড়ে ।
এ বাড়ির সব আম- জাম -কাঠাল গাছে  মিশে ,
ও বাড়ির বাঁশ -সুপারি গাছ করতো মিতালি এসে ।
সারা পাড়ায় একটি বাড়িতে টি ভি ছিল তাই -
পুরো পাড়ার মানুষের দেখতে কোন বাধা নাই।
কিন্তু দেশের উন্নতির সাথে,মানুষের বেড়েছে বদখেয়াল।
মানুষে মানুষে বাড়ছে ক্রমেই বিভেদের শত দেয়াল ।
পাশের বাড়িতে মানুষ মরলে ও কেউ খোঁজ রাখেনা।
অসুস্থ বা রাস্তায় পড়লে তো প্রশ্নই ওঠে না।
নিজের বাড়িতে নিজের মায়েরই হয়না এখন ঠাই ।
রহিমের মায়েরা কোথায় যাবে ,সে বুঝুক তারা- ই ।
মানুষের এখন আশা আকাঙ্খা শুধু নিজেকে নিয়ে ।
সকল সুখ শুধু দোতলার উপর তিন তলা দিয়ে ।
নিজে কিভাবে উপরে উঠবে,সকলকে বঞ্চিত করে ।
এ চিন্তাই মানুষকে একদিন নিয়ে যায় কবর ঘরে ।
যতদিন আবার প্রশস্ত না হবে, মানুষের অন্তঃস্থল ।
ততদিন শুধু বাড়তেই থাকবে ব্যবধান -অসমতল ।


২৯/০১/২০২২