মেয়ে
--------
-----নজরুল ইসলাম খান


জন্ম দিয়ে আদর যত্নে মানুষ করা মেয়ে ,  
স্নেহের বড় কাঙ্গাল হয় পরের ঘরে যেয়ে ।
স্বামীর ঘরে সবাই তারে ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী ।
স্বামী দেখে ভাত কাপড়ে কিনে আনা বান্দী।
চেনা মানুষ ছেড়ে করে অচেনাকে  আপন।
চায় না তবু্ গলতে কভু পাষাণসম মন ।
মনের কষ্টে অভাগিনী চোখের জ্বলে ভাসে  ।
দুঃখ জ্বালা মিটাটে চায় মায়ের বুকে এসে ।
বাবা মায়ের হৃদয় ফাটে মেয়ের কষ্ট বুঝে ।
সুখের দামে দুঃখের ভাগ আনে যেন খুঁজে ।
বাবার ঘরের রাজ কন্যা পরের ঘরে দাসী ,
একটুখানি ভালবাসায় মুখে ফোটে হাসি ।
অবলারা জেনে শুনে পরে তবু ফাঁসী ।
সুখের আশায় ভাসিয়ে দেয় দুঃখ রাশি রাশি ।
পায় না তবু অমূল্য ধন যতই ভিক্ষা মাগে ,
এক সাগরের হতাশা বুকের মাঝে জাগে ।
এমন ভাবে বানিয়েছেন স্রষ্টা তার নারী ,
বাবার বাড়ী, স্বামীর বাড়ী,, নাই নিজের বাড়ী।
মাটির মতন স্বভাব থাকে যতই যাক পিষে ,
জীবনটাকে কাটাতে চায় সবার সাথে মিশে ।
পিষতে পিষতে ফাটে যখন আগ্নেয়গিরি তার ,
জ্বলে পুড়ে জগত সংসার হয় তখন ছারখার ।


২৯/০৫/২০২২