বিষন্ন দুপুরগুলোয়
অথবা বিষুবীয় বিকেলগুলোয় ভীষনরকম
মরে যেতে ইচ্ছে করে,
অনাদিকালের দহনে ভস্মীভূত ভেতরটাকে
নতুন করে জ্বালিয়ে দিতে ইচ্ছে করে।
রাত্রির অলিন্দের পুরোটা জুড়ে নিঃস্তব্ধতার শোরগোল আর প্রতিবন্ধী চাঁদের আহুতিতে
অস্তিত্বের নির্বাসনে হাহাকারে ভারি হয় বুক,
ভালো থাকার ছদ্মবেশে বুকের ভেতর
গজিয়ে ওঠা অভিমানের পাহাড়কে ডিঙানোর দুঃসাহসও করে ফেলি বহুবার,
পেছনে ফেলে আসি একটা বিপন্ন ক্ষয়িষ্ণু জীবন,
চিরস্থায়ী আশ্রয়ের খোঁজে মরিচীকাকে আঁকড়ে ধরি সরীসৃপের মত,
অনুভূতির নামে বহুবার জারিকৃত অর্ডিন্যান্স,
এ জীবদ্দশাতেই বারংবার
এনে দিয়েছে পোড়ার স্বাদ।
এখন বেঁচে থাকাটা শুধুমাত্র
কিছু নির্লজ্জ নিঃশ্বাসের দুষ্টচক্র,
জানি তথাকথিত চাওয়ার পথ অবরুদ্ধ,
ধরনীতে নেয়না কেউ পোড়ার ভাগ,
খুব করে চাই কোথায় গেলে মুছে ফেলা যাবে
অন্তর পোড়ার কালশিটে দাগ?
উচাটন মনটা তো চেয়েছিলো-
একটু পেলব স্পর্শ যা দিয়ে শুকিয়ে যাবে
দহনের বিশ্রীসব ক্ষত,
অথচ এই পৃথিবীতে ব্যক্তিগত দুঃখবোধের অংশীদারিত্ব পুরোপুরি অমার্জনীয়!