তখন আমি অনেক ছোট, নিদেনপক্ষে তিন।
ছাদের কোণায় প্রথম দেখি, সূচালো আলপিন।
আলপিনের ওই চিকন মাথার এত্ত জাদু দেখে,
গালভরা এক হাসির চোটে মুখটা গেল বেঁকে।
সে আর আমি এক বয়েসী, এক বয়েসী মন।
তারই সঙ্গে কাটতো আমার দিনের সারাক্ষণ।
খোঁচাই যাকে, হারায় সে তার কিছুক্ষণের ভাষা,
মানুষজনের মুখটা ভারী প্রতিক্রিয়ায় ঠাসা।
বেড়াল-কুকুর যা কাছে পাই, তাকেই মারি খোঁচা।
কুকুরগুলো কেমন যেন নাকটা করে বোচা।
কলম খোঁচাই, খোঁচাই আরো ধারাপাতের বই।
মনের সুখে খোঁচাই ঘরের পাতিল ভরা দই।
আলতো করে উকুন খোঁচাই, খোঁচাই মামার ভুঁড়ি।
কারো পায়ে খুঁচিয়ে দেই, সামান্য সুড়সুড়ি।
জন্মদিনের বেলুন সবই এক নিমিষে ঠাস।
পিপড়া খোঁচাই, খোঁচাই আমার জীবন্ত উচ্ছাস।
এখন আমি অনেক বড়, মন তো সবই বোঝে।
আলপিন আজো তেমন আছে, হয়তো আমায় খোঁজে।
সঙ্গী আমার অনেক এখন, মনেই তো নেই তাকে।
কে জানে সেই আলপিন আমায় হাত বাড়িয়ে ডাকে?