বই থাকে তার নিজের মত,
বইটি ধরার লক্ষণও,
আমার ভেতর যায় না দেখা,
সকাল-বিকাল কক্ষনো।
আমার কেমন দুপুরবেলায়,
গা এলাতে ভাল্লাগে।
ঝা ঝা রোদে কেবল শুধু
মনের ভেতর ঝাল লাগে।
সন্ধ্যা হলেই আকাশ আমার
জানলা ধরে ঝুলবে রে।
বইয়ের একশ তিরিশ পাতায়,
আমার যাচ্ছে ভুল বেড়ে।
জানলা দিয়ে তীব্র বেগে,
পাশের বাড়ির গন্ধটা।
হঠাৎ আমার ভেতর জাগে,
মাত্রাহীনের অন্ধটা।
চতুর্পাশে পাগল কেবল,
পাগল আমার মনটাও।
মাথার ভেতর পাগল আমার
সন্নিহিত কোণটাও।
অর্থবোধক শহর আমার,
কিন্তু সেটার রাস্তা নাই।
রাস্তা বলতে আমার কেবল
ছাদের কোণের আস্তানাই।
পড়ার টেবিল আমার বড়ো
এদিক-সেদিক খাপছাড়া।
সপ্তা জুড়ে দিব্যি আছি,
তেমন কোনো চাপ ছাড়া।
ঠায় দাঁড়িয়ে বারান্দাটা,
শহর দেখি আড়চোখে।
বই ছাড়িয়ে আকাশটাও
দেখছি ঠিকই চারচোখে।
সকাল-দুপুর আমার কেবল
পড়াশোনার কুলখানি।
হঠাৎ কোনো সন্ধ্যেবেলায়
মনোযোগের চুলকানি।
পড়তে যাবার ইচ্ছে আমার
অল্প কিবা অর্ধ নয়।
তারপরেও বইতো আমার
বাজার করার ফর্দ নয়।
কেবলযদি জানলাগুলো
বন্ধ থাকে বৃষ্টিতে।
সব মনোযোগ পড়বে আমার
হলুদ পড়ার সৃষ্টিতে।
এসব আমার সত্যি কথা,
এসব কোনো গল্প না।
আজকে আমার মাথার ভেতর
চতুর্ভুজের কল্পনা।