জাগতিক মৃত্যু ভয়ে সদাই অস্থির!
পলে পলে শঙ্কিত কম্পিত হিয়া,
কেমনে করিব পার ভব সিন্ধু সাগর?
একদা উচাটন মন তোমাতে সমর্পিয়া
মৃত্যু, তুমি বাস্তব, এবে নাহি মম ডর,
অনন্ত যাত্রা পথে বারে বারে মিলিয়া
সাময়িক শঙ্কা আজি হইয়াছে দূর।


মহাকালের যাত্রা পথে আসিলে পুনর্বার
দেহ থেকে ভিন্ন করি উপাড়িতে জান,
হায়!এবারো পরাজয় করিলে স্বীকার।
মৃত্যু! তুমি শুধু এক মাধ্যম,পরিবর্তন
বিশ্ব জুড়ে ঘটমান শক্তি-সাম্য ভর
ক্রিয়াশীল, সৃষ্টি-ছন্দ করিছো পালন।
বারংবার দেখা দাও জীবনের পার,
আচম্বিতে স্তম্ভন, হৃদয় করিতে হরণ।


আজি মুক্ত বিহঙ্গম,ভাসি লোকান্তর,
নাহি বাধা শরীর বন্ধন,অপার সিন্ধু!
ধীর গতিময় যাত্রী, অজানা লোকের,
নহি একা,অগুনিত দেদীপ্যমান বিন্দু
ভ্রমিতেছে সুক্ষ্ম দেহে এধার ওধার।
নহি স্থির মোরা,যেন ভাতি ভাস্বর ইন্দু,
অদৃশ্য টানে ধায় এক সুরঙের ভিতর,
সাথে পায় সবে নির্ধারিত দেবদূত বন্ধু।


অদ্ভুত মায়াময় এক স্তিমিত আলোয়,
স্থানে স্থানে দেয় দেখা গড়ন বৃক্ষ সমান
বিন্দু বিন্দু আলোক আঙ্গুর থোকায়!
কর্ম অনুযায়ী অস্থায়ী স্থান নিরূপণ।
মাত্রা হীন জগৎ সে, মনোরম মনোময়,
মূহুর্তে গড়িতে পারে তা ইচ্ছাধীন মন।
একের প্রারব্ধ কর্মফল করিয়া ক্ষয়,
পুনরায় জন্ম লভে নির্ধারিত স্থান।।